দুই পাইলটকে নিয়ে সবেমাত্র উড়ান শুরু করেছিল বায়ুসেনার বিমানটি। কিন্তু সেনা ঘাঁটির চৌহদ্দি ছাড়ানোর আগেই তা ভেঙে পড়ল মাটিতে। বৃহস্পতিবার কলাইকুন্ডার বায়ুসেনা ঘাঁটির এই ঘটনায় দুই পাইলট অক্ষতই আছেন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমানটি। কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা নিয়ে ‘কোর্ট অব ইনকোয়ারি’ বা অন্তর্তদন্ত শুরু হয়েছে। বায়ুসেনা জানিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কলাইকুন্ডার চৌহদ্দির ভিতরে ভেঙে পড়া ‘হক’ বিমানটি মূলত প্রশিক্ষণের জন্যই ব্যবহার করা হয়। বিমানে থাকা পাইলটদের এক জন প্রশিক্ষক, অন্য জন শিক্ষানবিশ। তবে তাঁদের দু’জনের পরিচয় জানানো হয়নি।
এ দিনের ঘটনা কিন্তু অনেকের মনেই মিগ-২১ (সামরিক ভাষায় মিগ-২১ এফএল) বিমানের প্রসঙ্গ উস্কে দিয়েছে। যুদ্ধের কাজ থেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে মিগ-২১ বিমানগুলিকে প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হতো। তার পরেই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটতে শুরু করে। যার ফলে মিগ-২১ বিমানকে ‘ফ্লাইং কফিন’ বলেও ডাকা হতো। ঘটনাচক্রে মিগ-২১ বিমানের ঘাঁটিও ছিল কলাইকুন্ডা। ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর এই ঘাঁটি থেকেই শেষ বারের মতো উড়েছিল সে।
‘হক’ কিন্তু মিগের মতো অত পুরনো নয়। চলতি বছরের শেষে আরও কয়েকটি হক বিমান কেনা হতে পারে। এমন নতুন বিমান ভেঙে পড়ল কেন? বায়ুসেনার এক অফিসার বলেন, ‘‘যন্ত্র যে-কোনও সময়েই বিগড়ে যেতে পারে। তা সে নতুনই হোক বা পুরনো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy