বাম শিবিরের কাছে ফের হারতে হল তৃণমূলকে।
‘বিদ্যাসাগর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (ভুটা)-এর নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল বাম সমর্থিত শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুটা। এই ভোটে মনোনয়নই জমা দিল না তৃণমূল সমর্থিত শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা। বুধবার ছিল ভুটা-র বার্ষিক সভা। সংগঠনের ১৩টি আসনে এ দিন কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় ভোটাভুটি এড়ায় বামেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে ভুটা বামেদেরই দখলে ছিল। ২০১১ সালে হাতছাড়া হলেও পরের বছর ফের ক্ষমতায় ফেরে ওয়েবকুটা।
মনোনয়ন দেওয়া গেল না কেন?
ওয়েবকুপার সদস্য এক শিক্ষকের আক্ষেপ, ‘‘দলীয় সমর্থকেরা নেতৃত্বহীনতায় ভুগছেন। সমস্যা হলে কার কাছে যাব, সেটাই বুঝতে পারি না। একই কারণে অন্য শিক্ষকদেরও আমরা ওয়েবকুপায় টানতে ব্যর্থ হয়েছি। তা ছাড়া, সংগঠনে কোন্দলের জেরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে বৈঠকই করা যায়নি।’’
পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলের ব্লক বান্দোয়ানের একটি আদিবাসী সমবায় সমিতির নির্বাচনেও তৃণমূল একটিও মনোনয়নপত্র না তোলায় সমিতির দখল পাওয়া সিপিএমের কাছে এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ৪ অক্টোবর সমিতির সদস্য নির্বাচন হওয়ার কথা। শুধু, ৪টি আসনে বিজেপি প্রার্থী দেওয়ায় সেখানে ভোট হবে। অথচ, ব্লকের ৮টি গ্রাম পঞ্চায়তের মধ্যে ৭টিই তৃণমূলের দখলে। বান্দোয়ান পঞ্চায়েত সমিতিও তৃণমূলের।
তৃণমূলের বান্দোয়ান ব্লক সভাপতি রঘুনাথ মাঝি বলেন, ‘‘ওই সমবায় সমিতির সদস্যদের প্রায় সকলেই সিপিএম সমর্থক। নতুন করে ভোটার না হওয়া পর্যন্ত ভোট স্থগিত রাখার জন্য জেলায় আবেদন করেও সাড়া মেলেনি। বাধ্য হয়ে ভোট বয়কট করেছি।’’ পালাবদলের চার বছর পরেও কেন সমবায় ভোটারদের মধ্যে দলীয় নেতৃত্ব নিজেদের সমর্থক তৈরি করতে পারেননি, সে প্রশ্ন উঠেছে। সদুত্তর দেননি রঘুনাথবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy