Advertisement
E-Paper

মেধা-তালিকার বিভ্রাটে হয়রানি

স্নাতকোত্তরে কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি করতে গিয়ে শুরুতেই কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৮ ০৪:২৬
  ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইন চালু করতে রাজি না-হওয়ায় স্নাতক স্তরে ভর্তি নিয়ে হাজারো ঝামেলা বাধছে প্রতি বছরই। আর স্নাতকোত্তরে কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি করতে গিয়ে শুরুতেই কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। মেধা-তালিকায় গরমিল ও বিভ্রান্তির অভিযোগ তুললেন প্রার্থীরা। পর্যাপ্ত নম্বর থাকা সত্ত্বেও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীকে। সমস্যা বেশি ইংরেজির পড়ুয়াদের।

শিক্ষামানের খাতিরে স্নাতকোত্তরে এই প্রথম বার কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শুরুতেই জটিলতার সৃষ্টি হয় মেধা-তালিকা প্রকাশকে ঘিরে। সাধারণ নিয়ম অনুসারে শূন্য পদের ৬০ শতাংশ পূরণ করা হবে মেধার ভিত্তিতে। সেই অনুযায়ী আবেদনও করেন ছাত্রছাত্রীরা। ২৪ জুলাই মেধা-তালিকা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়। পড়ুয়াদের অভিযোগ, বিস্ময়কর ভাবে বাংলা, পালি, ইংরেজি-সহ বেশ কিছু বিষয়ের তালিকা সে-দিন প্রকাশ করা হয়নি। ফলে বিভ্রান্তি ছড়ায়। ২৬ জুলাই দুপুরে ফের একটি মেধা-তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু যে-সব পড়ুয়া শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে ভর্তি হতে পারবেন, তাঁদের নামই দেওয়া হয় সেই তালিকায়।

নিয়ম অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতেই ঠিক করা হয়, কে কোন কলেজে পড়বেন। তাই প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসের তালিকা প্রকাশ হয়। সাড়ে ৪টেয় ফের একটি তালিকা প্রকাশিত হয় ওয়েবসাইটে। কিন্তু অজানা কারণে সাড়ে ৫টা নাগাদ ওই তালিকা তুলে নেওয়া হয়। পরে, ফের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয় সাড়ে ৭টা নাগাদ। কিন্তু তাতে দেখা যায়, স্নাতকে ৫০ থেকে ৫৪.৫ শতাংশ পেয়েছেন, এই ধরনের প্রার্থীদের নাম নেই। অথচ ৫০ শতাংশের কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের নাম রয়েছে! কেন এবং কী ভাবে এমনটা হল, সেই প্রশ্ন ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই।

মেধা-তালিকায় বিভ্রান্তির কারণ জানতে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এক দল পড়ুয়া। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও দেখা পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে তাঁদের জানানো হয়, কিছু পড়ুয়ার ফর্ম পূরণে ভুল হয়েছে। তাই তাঁদের নাম তালিকায় দেওয়া হয়নি। এক পড়ুয়া বলেন, ‘‘২৬ জুলাই বিকেলের তালিকায় আমার নাম ছিল। কিন্তু সাড়ে ৭টার তালিকায় দেখি, আমার নাম নেই! এটা কী করে সম্ভব?’’ প্রথমে নামে রেখে কেন মুছে দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। ‘‘ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামান্য কাজেও এত ভুল দেখে হতাশ লাগে,’’ বললেন এক অভিভাবক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিসার জানান, এমনটা কোনও ভাবেই হওয়ার কথা নয়। কর্তৃপক্ষ সম্ভবত কোনও গরমিলকে ধামাচাপা দিতে চাইছেন। এ দিন বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ ফের মেধা-তালিকা তুলে নেওয়া হয়। এতেই সন্দেহ আরও বাড়ছে। ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন, এত বার মেধা-তালিকায় পরিবর্তন কেন? মেধা-তালিকায় কোনও অস্বচ্ছতা ঢাকতেই কি এই পদক্ষেপ?

বিভ্রান্তির বিষয়ে পড়ুয়াদের নালিশ মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদের একাংশও। পুরো বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উপাচার্য সোনালিদেবী এবং সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) দীপক করকে ফোন করা হলে তাঁদের কেউ ফোন তোলেননি। জবাব দেননি মেসেজেরও।

Partha Chatterjee Education College Admission University of Calcutta
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy