দিলীপ ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত।
শিশু পাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল আগেই। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদও চলছিল। সল্টলেকের চিকিৎসক এবং বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার তাঁকে শিশু পাচার চক্রে জড়িত সন্দেহে ভবানী ভবনে ডেকে রাতভর জেরা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ সকালে তাঁকে ফের ডেকে পাঠানো হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তারপরই দিলীপ ঘোষকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেয় সিআইডি।
খাস কলকাতার বুকে শিশুপাচার চক্রের অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে সামনে উঠে এসেছে যে শ্রীকৃষ্ণ নার্সিংহোমের নাম, তার সঙ্গে ১৯৯৪ সাল থেকে যুক্ত ছিলেন সল্টলেকের ওই চিকিৎসক। সল্টলেকের সিএস ব্লকে তাঁর একটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। আশির দশকের শেষের দিকে তিনি সল্টলেকে বসবাস করা শুরু করেন। নিজেকে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, শ্রীকৃষ্ণ নার্সিংহোমে তিনি মূলত মহিলাদের গর্ভপাতই করাতেন। সূত্রের খবর, তিনিই নাকি এক সময় ওই নার্সিংহোমের মালিক ছিলেন। পরে মালিকানা হস্তান্তর হয়ে যায়। ২০১২ সাল পর্যন্ত সেখানে কাজ করেছেন তিনি। নার্সিংহোম ছাড়ার পরেও সেখানকার আর এক চিকিৎসক সন্তোষ সামন্তের সঙ্গে এই দিলীপের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে সিআইডি সূত্রের খবর। পাচার চক্রের অন্যতম মাথা এই সন্তোষ সামন্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেই।
নিত্যানন্দ বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত।
চিকিৎসক দিলীপ ঘোষ বিধাননগরের একজন রাজনৈতিক নেতাও। শুরুর দিকে তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকে ছিলেন। সেই সময় তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে যান। পরবর্তী কালে বিশ্বজীবন মজুমদার সল্টলেকের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সিপিএমে যোগ দেন এবং সিপিএমের টিকিটে বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। পরে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৫-তে বিজেপি’র হয়ে পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জিততে পারেননি।
দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি শহরের আরও এক চিকিৎসককে আজ গ্রেফতার করল সিআইডি। নিত্যানন্দ বিশ্বাস নামের ওই চিকিৎসক বেহালার বিজি প্রেস এলাকার বাসিন্দা। বাড়িতে রোগী দেখেন। একই সঙ্গে বেহালারই মোহনানন্দ ব্রহ্মচারী শিশু সেবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন: ক্রেতা পুলিশ, পাচারে পাকড়াও আয়া
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy