প্রত্যাশিত নম্বর না-পেলে স্ক্রুটিনি করার বন্দোবস্ত আছে পরীক্ষার্থীদের জন্য। আর সেই স্ক্রুটিনিকে হাতিয়ার করেই বিএড পরীক্ষায় অকৃতকার্য পড়ুয়াদের পাশ করিয়ে দেওয়ার রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে একটি চক্র।
বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে ওই চক্রের সন্ধান পেয়েছে সিআইডি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, জাল মার্কশিট চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পরীক্ষা নিয়ামক অভিজিৎ তলাপাত্র এবং সহ-পরীক্ষা নিয়ামক সুব্রত সরকারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিএডে অকৃতকার্যদের অবৈধ ভাবে পাশ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মাস ছয়েক আগে দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ করেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসব চৌধুরী। কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন, অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের অনেকেই পরে স্ক্রুটিনির সূত্রে পাশ করে গিয়েছেন। উপাচার্য বাসববাবু বলেন, ‘‘আমার কাছে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আসে গত বছর। তা আমি পুলিশকে জানিয়ে তদন্ত করতে বলি। পুলিশ তার ভিত্তিতেই তদন্ত করছে।’’
প্রাথমিক তদন্তে সিআইডি-র অনুমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই আধিকারিক ওই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। গোয়েন্দারা জানান, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত জনা দশেক অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী ওই ভাবে পাশ করেছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্তাকেও।
তদন্তকারীরা জানান, চক্রের লোকেরাই বিএড পরীক্ষায় অকৃতকার্য পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। ওই ছাত্রছাত্রীদের স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন করত বলত তারা। আবেদনের কিছু দিনের মধ্যেই অকৃতকার্যদের আগের মার্কশিট নিয়ে নতুন মার্কশিট দিত চক্রের সদস্যেরা। বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশকে জানায়, আসলের সঙ্গে সেই সব জাল মার্কশিট ও সার্টিফিকেটের হবহু মিল। গোয়েন্দাদের দাবি, চক্রে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকজনই জাল মার্কশিট তৈরি করে দিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy