বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কারণ দর্শানোর নোটিসের জবাব দিতে হবে। বুধবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই ‘শো কজ’ নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত যে রিট পিটিশন করেছিলেন, সেটি খারিজ করে দেন বিচারপতি।
উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পেয়ে রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে মানবসম্পদ মন্ত্রক একটি অনুসন্ধান কমিটি গড়ে। সেই কমিটির বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে এর আগে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন উপাচার্য। সেই মামলাও সম্প্রতি খারিজ হয়ে যায়। এ দিন ফের হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন উপাচার্য।
এ দিন উপাচার্যের আইনজীবী সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় জানান, কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করার কোনও এক্তিয়ার নেই মানবসম্পদ মন্ত্রকের। ওই নোটিস রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে পাঠানোর কথা। তা ছাড়া, উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্পষ্ট কোনও অভিযোগ নেই।
আদালতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কৌশিক চন্দ জানান, পেনশন পাওয়া সত্ত্বেও সেই তথ্য বিশ্বভারতীর কাছে গোপন রাখা, টেগোর মেমোরিয়াল সোসাইটির দেড় কোটি টাকার একটি প্রকল্প টেন্ডার ছাড়াই বরাত দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমতি ছাড়া ২৫টি পদে লোক নিয়োগ করা, এমন নানা অভিযোগ রয়েছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ই কেন্দ্রের মানবসম্পদ মন্ত্রককে ওই নোটিস জারির অনুমতি দিয়েছে। তা ছাড়া, কারণ দর্শানোর নোটিস জারির অর্থ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া, এমন নয়।
সওয়াল শুনে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী নির্দেশ দেন, তিন সপ্তাহের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে উপাচার্যকে। সেই সঙ্গে মামলাটি খারিজ করে দিচ্ছেন বলেও জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy