বে-হুঁশ: বাঘের হানায় জখম হওয়ার পরেও জঙ্গলে অবাধ যাতায়াত বন্ধ হয়নি। বাগঘোরায়। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
যে জঙ্গলে বাঘ রয়েছে, সেখানে শিকারে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। বারবার লোকজন জঙ্গলে ঢুকেই বিপদ বাড়াচ্ছেন, বাঘও ধরা পড়ছে না।
গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ সুন্দরবন থেকে বাঘ ধরতে আসা দলের (ট্র্যাঙ্কুলাইজেশন টিম) সদস্যরা। ওই দলের এক সদস্যের অসন্তোষ, “এ ভাবে বাঘ ধরা যায় না। বারবার একদল শিকারিই সব কিছু ভেস্তে দিচ্ছে।” বারবার প্রচারেও জঙ্গলে অবাধ যাতায়াত বন্ধ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ বন দফতরও।
মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “গ্রামবাসীদের বলা হচ্ছে, দিনেও জঙ্গল এড়িয়ে চলতে। নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।” পরিস্থিতি দেখে দিন কয়েক আগে গাঁধীগিরির পথেও হেঁটেছিল বন দফতর।
লালগড়ের জঙ্গলে গিয়ে মেদিনীপুরের এডিএফও পূরবী মাহাতো আদিবাসী সমাজের প্রবীণ নেতাদের পা ধরে অনুরোধ করেছিলেন, ‘জঙ্গলে ঢুকে শিকার করবেন না।’ শুক্রবার চাঁদড়ার বাগঘোরাতেও পূরবীদেবী করজোড়ে স্থানীয়দের জঙ্গলে যেতে নিষেধ করেছেন। প্রথমে সাড়া দিলেও বেলা গড়াতে নিষেধ অগ্রাহ্য করে জঙ্গলে ঢুকেছেন অনেকে। পরিণামে তিনজন জখম হয়েছেন। আরও বাঘ নাগালেও এসেও ফস্কে গিয়েছে। এর আগে গোয়ালতোড়ের জঙ্গলেও একই ঘটনা ঘটেছে।
চাঁদড়ার রঞ্জিত মাহাতো, দিলীপ মাহাতোরা অবশ্য বলছেন, “এলাকার মানুষ জঙ্গলে যাবেনই। জঙ্গলের ওপরই যে রুজিরোজগার।”
সব মিলিয়ে বাঘ ধরা ক্রমেই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সুন্দরবনের দলটির এক সদস্যের কথায়, “আগে বহু বাঘ ধরেছি। তবে সুন্দরবন আর এখানকার অবস্থা এক নয়। জানি না আবার কবে এতটা নিখুঁত অবস্থান জানা যাবে এবং ফাঁদ পাতা সম্ভব হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy