—ফাইল চিত্র।
রীতিমতো রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মী-অফিসারেরা। কেননা তাঁরাই ঠিক করবেন, ধর্মঘট হবে কি না।
যদি ৯০% কর্মী-অফিসার ধর্মঘটে সায় দেন, তবেই ওই আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাই দেশ জুড়ে গোপন ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা করেছে কর্মী ইউনিয়ন। ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভোটগ্রহণ এ দেশের উড়ান ক্ষেত্রে অন্তত এই প্রথম বলে বিমানবন্দর শিবিরের অভিমত।
সারা দেশে ভোট দেওয়ার কথা ১৪ হাজার কর্মী-অফিসারের। কলকাতায় ভোটার প্রায় দেড় হাজার। এয়ারপোর্ট অথরিটি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (এএইইউ)-এর পূর্ব ভারতের সম্পাদক প্রদীপ সিকদার জানান, ইউনিয়নের সদস্যেরা ছাড়াও জেনারেল ম্যানেজার পদের কর্তারা এই ভোটে শামিল হয়েছেন।
গুয়াহাটি, লখনউ, জয়পুর, আমদাবাদ, মেঙ্গালুরু ও তিরুঅনন্তপুরম— দেশের এই ছ’টি বিমানবন্দরকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন কর্মীরা। লাভ হয়নি। তাই ধর্মঘটের ভাবনা। কিন্তু বেশির ভাগ কর্মী ধর্মঘটে সাড়া না-দেন, মুখ পুড়তে পারে ইউনিয়নের। তাই ভোট নিয়ে কর্মীদের মানসিকতা জানার চেষ্টা চলছে।
৯০ শতাংশ কর্মী যদি ধর্মঘট সমর্থন করেন, একসঙ্গে দেশের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর কার্যত স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ ও চণ্ডীগড় বিমানবন্দর বেসরকারি হাতে থাকায় সেগুলিতে অবশ্য ধর্মঘটের কোনও প্রভাব পড়বে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy