পঞ্চায়েত ভোটে ‘বিক্ষুব্ধ তৃণমূল’দের টিকিট দেবেন না— এটাই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নীতি। যদিও মুকুল রায় পঞ্চায়েতের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন ‘বিক্ষুব্ধ তৃণমূল’দের উপর ভর করেই। ফলে শেষ পর্যন্ত যে সব আসনে বিজেপি নিজের জোরে প্রার্থী দিতে পারবে না, সেখানে কারা টিকিট পাবেন, তা নিয়েই বিভ্রান্তি দলে।
দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল থেকে এসে টিকিট চাইলে আমরা দেব না। ওঁরা বলতে পারেন, আমরা জিতবই। কিন্তু আমরা বলব, আগে হারিয়ে দেখান।’’ দিলীপবাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘ওই সব অতৃপ্ত তৃণমূলরা আমাদের দলে ভোটের আগে এসে জিতে আবার জোড়া ফুলে ফিরে যেতে পারেন। কিন্তু বামফ্রন্ট বা কংগ্রেস থেকে আসা লোকেদের টিকিট দিলে সেই আশঙ্কা কম। তাঁরা অন্তত বিরোধী রাজনীতিটাই করছেন। তাঁদের প্রয়োজনে টিকিট দেব।’’ ২০১৫ সালে কলকাতার পুরভোটে বিজেপির টিকিটে জিতে কলকাতার দুই কাউন্সিলর তৃণমূলে চলে যান। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূজালি পুরসভাতেও দু’জন কাউন্সিলর তৃণমূলে চলে গিয়েছিলেন। সেই স্মৃতি এখনও টাটকা। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে প্রধান নির্বাচনের সময় এই দল বদল ঠেকাতেই টিকিট দেওয়ায় নিয়ন্ত্রণ চান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
যদিও সদ্য তৃণমূলত্যাগী মুকুল বিজেপিতে আসার পর থেকে বার বারই বলেছেন, তৃণমূলের টিকিট-বঞ্চিতদের প্রার্থী করা হবে। বিজেপির পঞ্চায়েত নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক মুকুলই। শুরু করেছেন জেলা সফরও। মুকুল-ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, জেলায় গিয়ে অনেক তৃণমূল নেতাই চোরাগোপ্তা মুকুলের সঙ্গে দেখা করছেন। টিকিট না পেলে তাঁরাই মুকুলের তুরুপের তাস হবেন। কিন্তু দিলীপবাবুর পঞ্চায়েত তত্ত্বে সে পরিকল্পনা উল্টে যেতে পারে বলেই দলের অনেকের আশঙ্কা। দিলীপের সাফ কথা, ‘‘গ্রাম পঞ্চায়েতে মণ্ডল কমিটি, সমিতিতে জেলা এবং জেলা পরিষদে প্রদেশ নেতৃত্বই যোগ্যতম প্রার্থী ঠিক খুঁজে বের করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy