Advertisement
০৪ মে ২০২৪

নারদ-কাণ্ডে হীরক রাজার দেশের ছায়া দেখেছেন কুণাল

এ দিন তাঁকে অরবিন্দ মিশ্র মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই সময় নারদ-কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন ছুটে আসে তৃণমুলের বহিষ্কৃত ওই সাংসদের দিকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমি এখন এ সবের মধ্যে নেই। সব দেখে মনে হচ্ছে আমি হীরক রাজার দেশ দেখেছি।’’ তার পর ব্যঙ্গের সুরে বলেন, ‘‘যায় যদি যাক প্রাণ, হীরকের রাজা ভগবান।’’ এর পর তড়িঘড়ি পুলিশ তাঁকে বাধা দিতে আসে। নিজেকে সামলে নিয়ে কুণাল বলেন, ‘‘আরে আমি তো কিছুই বলিনি!’’

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৬ ১৭:১৫
Share: Save:

সারদা মামলা তাঁর কেরিয়ার এবং জীবন দুই-ই একেবারে শেষ করে দিয়েছে। মঙ্গলবার এমন আক্ষেপই ঝরে পড়ল কুণাল ঘোষের গলায়।

এ দিন তাঁকে অরবিন্দ মিশ্র মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই সময় নারদ-কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন ছুটে আসে তৃণমুলের বহিষ্কৃত ওই সাংসদের দিকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমি এখন এ সবের মধ্যে নেই। সব দেখে মনে হচ্ছে আমি হীরক রাজার দেশ দেখেছি।’’ তার পর ব্যঙ্গের সুরে বলেন, ‘‘যায় যদি যাক প্রাণ, হীরকের রাজা ভগবান।’’ এর পর তড়িঘড়ি পুলিশ তাঁকে বাধা দিতে আসে। নিজেকে সামলে নিয়ে কুণাল বলেন, ‘‘আরে আমি তো কিছুই বলিনি!’’

বিকেলে আদালত থেকে বেরোনোর সময় তিনি বলেন, ‘‘ওই ভিডিও যদি জাল হয়, তা হলে ভিডিও নির্মাতাদের বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা করার অনুমতি দিক দল। আর যদি ঠিক হয়, তা হলে যাঁরা টাকা নিয়েছে তাঁরা বাইরে থাকবে, আর আমি ভিতরে থাকব এটা হতে পারে না। হাইকোর্টে যাব।’’ এরপরেই পুলিশ তাঁকে টেনে নিয়ে যায়।

এ দিন সারদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্র্যাভেলস-এর একটি মামলার শুনানি চলাকালীন তাঁকে এজলাসে তোলা হয়। বিচারককে কিছু বলার আর্জি জানান কুণাল। বিচারক শুনতে না চাওয়ায় তিনি হাতজোড় করে জানান, দয়া করে যেন তাঁকে বলতে দেওয়া হয়। এর পরে তিনি বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমি মাত্র ৪ দিনের ছুটি চেয়েছিলাম। কিন্তু তখন প্রভাব খাটানোর কথা বলা হয়েছে। মামলায় এর প্রভাব পড়ার কথা বলা হয়েছে। অথচ আমি কলকাতার এক পুলিশ অফিসারের কাছে শুনেছি, সারদায় অভিযুক্ত এক জন হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন লিখিয়ে নিয়েছিল যে তাঁর ‘ফ্রেশ এয়ার’ দরকার। পুলিশ তাঁকে এসকর্ট করে ভিক্টোরিয়াতে পায়চারি করাতে নিয়ে গিয়েছিল।’’ এর পরেই বিচারকের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘তখন প্রভাব খাটানো হয় না?’’

আরও পড়ুন

নারদ নিয়ে লোকসভা উত্তাল, টিপ্পনি, ‘শাট আপ’, ‘তুম চোর হ্যায়’!

শুধু তাই নয়, এই তদন্তের কারণ তিনি যে প্রবল মানসিক কষ্টে আছেন তাও বিচারককে বলেন তিনি। নারদা-কাণ্ড নিয়ে বলেন, ‘‘টিভি-তে দেখা যাচ্ছে কারা টাকা নিচ্ছে। সারা পৃথিবী তা দেখছে। কিন্তু তাঁদের কাস্টডিতে রেখে কোনও তদন্ত হচ্ছে না। আমি তো আমার কাজের প্রায়শ্চিত্ত করছি। কিন্তু আমাকে কাস্টডিতে রেখে কোনও লাভ নেই।’’ তাঁর সব কথা শোনার পর বিচারক তাঁকে অনুরোধ করেন তাঁর বক্তব্য যেন তিনি শুনানির দিন বলেন। এ দিন এজলাসে কুণাল ঘোষের সঙ্গে নিয়ে আসা হয়েছিল সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়কেও। তবে তাঁরা কেউ মুখ খোলেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE