Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

স্বস্তি স্থায়ী হতে না-হতেই হুমকি দিচ্ছে নতুন নিম্নচাপ

উপগ্রহ-চিত্র বিশ্লেষণ করে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, ঘূর্ণাবর্তটি রয়েছে বাংলাদেশ ও লাগোয়া বঙ্গোপসাগরের উপরে।

ভারী বর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে কমবেশি জোরালো বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র।

ভারী বর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে কমবেশি জোরালো বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৭ ০৩:১০
Share: Save:

জোড়া ঘূর্ণাবর্ত চোখ রাঙিয়ে বিদায় নেওয়ায় বানভাসি দক্ষিণবঙ্গ কিঞ্চিৎ আশ্বস্ত হয়েছিল। কিন্তু সেই স্বস্তি স্থায়ী হতে না-হতেই হুমকি দিতে শুরু করেছে নতুন নিম্নচাপ। তার দাপটে আজ, শনিবার থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তাতে প্রমাদ গুনছে বানভাসি এলাকা।

আবহবিজ্ঞানীরা জানান, আগামী কয়েক দিন শুধু গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ নয়, ওডিশা-ঝাড়খণ্ডেও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। আর সেই শঙ্কার মূলে আছে বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে ঘনিয়ে ওঠা একটি ঘূর্ণাবর্ত। শুক্রবার সে জোরালো হয়েছে। শনিবার আরও শক্তি বাড়িয়ে সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সে-ক্ষেত্রে ফের দুর্যোগের কবলে পড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গ।

উপগ্রহ-চিত্র বিশ্লেষণ করে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, ঘূর্ণাবর্তটি রয়েছে বাংলাদেশ ও লাগোয়া বঙ্গোপসাগরের উপরে। নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পরে সেটি এ রাজ্যের দিকে সরে আসতে পারে। তাতে বৃষ্টির দাপট বা়ড়বে। শনিবার থেকেই উপকূলীয় জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে কমবেশি জোরালো বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র। রবিবার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে ঝা়ড়খণ্ডে।

আরও পড়ুন:জন্মদিনের টাকা ‘বোন’কে দিল অভিলাষা

নিম্নচাপটি কোন রাস্তা ধরবে, শুক্রবার নিশ্চিত করে বলতে পারেনি হাওয়া অফিস। যে-পথই ধরুক, পশ্চিমবঙ্গ দুর্যোগের আশঙ্কা কমছে না। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, ঘূর্ণাবর্ত থেকে জন্ম নেওয়ার পরে নিম্নচাপটি সোজা গাঙ্গেয় বঙ্গে ঢুকতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি ঝরিয়ে সে যাবে ঝাড়খণ্ডে। সে-ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাতে হবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গকেই। দ্বিতীয়ত, ওডিশায় ভারী বৃষ্টি ঝরিয়ে নিম্নচাপ পৌঁছবে ঝাড়খণ্ডে। সেখানে জোর বৃষ্টি হলে জল গড়িয়ে এসে ফের বিপাকে ফেলবে দক্ষিণবঙ্গকে। জলাধার থেকে জল ছা়ড়লেও তা এ রাজ্যে ঢুকবে।

সম্প্রতি একটি নিম্নচাপের জেরে প্রবল বৃষ্টি হয়েছিল গাঙ্গেয় বঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে। তাতে বানভাসি হয়ে পড়ে বাংলার কয়েকটি জেলা। প্রাণহানি হয়েছে অনেক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল। তার মধ্যেই নতুন ঘূর্ণাবর্ত আর সম্ভাব্য নিম্নচাপের সতর্ক বার্তা আসায় সেচ দফতর ফের কোমর বাঁধছে। নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে ডিভিসি-র সঙ্গে। ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু করেছে সেচ দফতর। অফিসার-কর্মীদের পাঠানো হচ্ছে ভাঙনপ্রবণ এলাকায়। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘যে-সব জায়গায় এখনও নদীবাঁধ দুর্বল, যেখানে পাড় ভাঙা, সেই সব ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি শুরু হয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE