Advertisement
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
Primary Teachers

প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক ঘাটতি, জেলায় জেলায় বদলির নির্দেশ পর্ষদের, রাজনীতির অভিযোগে বিতর্ক

গত ১০ মে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডগুলিকে একটি নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। যেখানে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Image of Nabanna.

প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পর্ষদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৩ ১৭:২৯
Share: Save:

জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক অপ্রতুল। তাই এ বার প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গত ১০ মে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডগুলিকে একটি নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। যেখানে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পর্ষদের তরফে ওই নির্দেশিকাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার পাঠিয়েছেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক এবং জেলা প্রাথমিক কাউন্সিলকে।

তবে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পর্ষদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। সবার আগে বদলির তালিকা পর্ষদের দফতরে পাঠাতে হবে। পর্ষদ সেই তালিকায় সায় দিলেই তা কার্যকর করতে পারবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড। এমন সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার যে সমস্ত প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের অভাব রয়েছে, সেই সব স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা বৃদ্ধি করতেই পর্ষদ এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে এক জন শিক্ষককে তিনি যে জেলায় শিক্ষকতা করছেন, তাঁকে সেই জেলারই অন্য কোনও স্কুলে বদলি করতে হবে।

বদলির এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘এই ধরনের বদলির পিছনে সরকারের অন্য অভিসন্ধি রয়েছে। যে সব শিক্ষকেরা বিরোধী সংগঠন করেন, তাঁদের বেছে বেছে দূরের স্কুলে বদলি করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা ডিএ-র দাবিতে সরব হয়েছেন, তাঁদেরই আগে টার্গেট করা হবে।’’ জবাবে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সভাপতি পলাশ সাঁধুখা বলেন, ‘‘কোনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অভাব থাকলে, সেখানে শিক্ষক দিয়ে স্কুলকে সচল রাখতে হবে। যদি কোনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেশি সংখ্যায় শিক্ষক থাকেন, তাহলে সেখান থেকে জেলার অপর প্রান্তে শিক্ষক বদলি করা যেতেই পারে। কারণ, স্কুলে শিক্ষকের অভাব থাকলে চলবে না। তাই পর্ষদের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা অনুচিত।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘সরকারি চাকুরে হলে বদলি হবেই। কেউ তো আর এক জায়গায় সারা জীবন থাকেন না। এই বদলি শিক্ষকদের মেনে নিয়ে সমালোচনা বন্ধ করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE