দাসপুরে ভারতী ঘোষের ভাড়া বাড়িতে শুক্রবার সকালে জেরা করতে পৌঁছেছে সিআইডি। নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা নির্বাচন নিয়ে যখন প্রচারে ব্যস্ত বিভিন্ন দল, তখন সিআইডির মুখোমুখি হতে হচ্ছে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষকে। শুক্রবার সকালে সিআইডি-র একটি দল দাসপুরে ভারতী ঘোষের অস্থায়ী ঠিকানায় পৌঁছে যায়। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর, শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদপর্ব।
এক সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন ভারতী ঘোষ। তার পর ভারতী চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। এর পরেই দাসপুরের তোলাবাজি মামলায় ভারতীর নাম জড়িয়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নামে সিআইডি। বেশ কিছুদিন আত্মগোপন করার পর, ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগ দেন ভারতী।এ বার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেতা দেবের বিরুদ্ধে ভোটের ময়দানেও সম্মুখসমরে তিনি। ভোট প্রচারে ভারতীর মুখে তৃণমূলের সমালোচনা শোনা যাচ্ছিল। তাঁর ঝাঁঝালো বক্তৃতায় তপ্ত হয়ে উঠছিল ঘাটালের মাটি। এই পরিস্থিতিতে ভারতীকে জেরার ঘটনায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন। যদিও প্রশাসনিক সূত্রে দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
সিআইডি-র একটি সূত্রে খবর, দাসপুরের তোলাবাজির মামলায় ভারতীকে জেরার জন্যে আগেই নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি ভবানী ভবনে হাজিরা দিতে গররাজি ছিলেন। সে কারণে সিআইডি-র একটি দল এ দিন দাসপুরে ভারতী যে ভাড়াবাড়িতে থাকছেন, সেখানে পৌঁছে যায়। যদিও এই জেরার বিষয়ে সিআইডিকর্তারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দাসপুরের ব্যবসায়ী চন্দন মাজির অভিযোগের ভিত্তিতে তোলাবাজি মামলার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ভারতীর অভিযোগ ছিল, মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। আত্মগোপনের সময় তিনি বারবারই রাজ্য পুলিশ এবং প্রশাসনের ভূমিকায় হোয়াটস্অ্যাপ বার্তায় ক্ষোভ উগরে দিতেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy