Advertisement
E-Paper

শিল্পে সুবিধা দিতে নয়া সুসংহত নীতি

বিনিয়োগ করলে শিল্পে কমবেশি সুযোগ-সুবিধা এখনও মেলে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দফতরে-দফতরে কিছু অমিলের দরুন বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। সেই বিভ্রান্তির অবসান ঘটাতে শিল্পের জন্য এ বার তৈরি হচ্ছে রাজ্যের নতুন ‘কমপ্রিহেন্সিভ ইনসেন্টিভ পলিসি’ অর্থাৎ সুসংহত আর্থিক উৎসাহ বা সুযোগ-সুবিধা প্রদান নীতি।

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৯

বিনিয়োগ করলে শিল্পে কমবেশি সুযোগ-সুবিধা এখনও মেলে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দফতরে-দফতরে কিছু অমিলের দরুন বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। সেই বিভ্রান্তির অবসান ঘটাতে শিল্পের জন্য এ বার তৈরি হচ্ছে রাজ্যের নতুন ‘কমপ্রিহেন্সিভ ইনসেন্টিভ পলিসি’ অর্থাৎ সুসংহত আর্থিক উৎসাহ বা সুযোগ-সুবিধা প্রদান নীতি।

রাজ্যে নতুন বিনিয়োগ করলে শিল্পের চরিত্র অনুযায়ী বিভিন্ন দফতরের তরফে নানা ধরনের আর্থিক সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ক্ষুদ্র থেকে বড়— সব শিল্পই এই সুবিধা পেয়ে থাকে। কিন্তু সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে এক দফতরের সঙ্গে অন্য দফতরের বিশেষ মিল নেই। তাতে শিল্প সংস্থাগুলিকে অর্থাৎ শিল্পোদ্যোগীদের অনেক সময়েই সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সংস্থা আবার বাড়তি সুবিধাও পেয়ে যায়। এই ব্যবস্থাতেই আমূল পরিবর্তন আনতে চাইছে রাজ্য সরকার। ঠিক হয়েছে, নতুন সংস্থাগুলিকে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নীতি-কাঠামো তৈরি করা হবে। যা সব দফতরের ক্ষেত্রেই প্রয়োজ্য।

নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব মলয় দে-র নেতৃত্বে এই ‘কমপ্রিহেন্সিভ ইনসেন্টিভ পলিসি’ তৈরির জন্য নতুন একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিল্প ও বাণিজ্য-সহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতর, তথ্যপ্রযুক্তি, খাদ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, কৃষি বিপণন, প্রাণিসম্পদ প্রভৃতি দফতরের সচিবদের নিয়ে গড়া হয়েছে ওই কমিটি। আগামী দু’মাসের মধ্যে ওই কমিটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই বিষয়ে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে। মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সঙ্কেত পেলেই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক সুযোগ-সুবিধার দেওয়ার নীতি চূড়ান্ত রূপ পাবে।

শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের এক কর্তা জানান, ওই কমিটির সদস্যদের নিয়ে মুখ্যসচিব ইতিমধ্যেই তিন বার বৈঠক করেছেন। প্রত্যেকের মতামত নেওয়া হচ্ছে। এমন ভাবে বিষয়টি তৈরি করা হবে, যাতে কোনও সংস্থা রাজ্যে বিনিয়োগের কথা ভাবলেই তারা এক নজরে জেনে নিতে পারে, তার জন্য রাজ্য সরকার কোন কোন ক্ষেত্রে কী কী আর্থিক সুবিধা দিতে পারে। উদাহরণ হিসেবে ওই কর্তা বলেন, ‘‘বর্তমানে কোনও সংস্থা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য কারখানা গড়লে সংশ্লিষ্ট দফতর ছাড়াও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের কাছে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি কোথাও কম, কোথাও বা বেশি।’’ তাঁর দাবি, বিনিয়োগের বহর এবং শিল্পের চরিত্র অনুযায়ী সকলের জন্য আলাদা আর্থিক সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি একেবারে নির্দিষ্ট কাঠামোয় ছকে দেওয়া হবে। সেই সব সুযোগ-সুবিধা দেবে শুধু দফতরগুলিই।

Comprehensive incentive policy State Government Nabanna Investment Amit Mitra
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy