Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না আবাস যোজনার, অভিযোগ নবান্নের

পুর এলাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নামে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে ২০১৫-য়। লক্ষ্য, ২০২২ সালের পরে শহরাঞ্চলে আর কোনও কাঁচা বাড়ি থাকবে না।

সোমনাথ চক্রবর্তী
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৯
Share: Save:

পুর এলাকার গরিব পরিবারকে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে রাজ্য। ওই প্রকল্পে এ পর্যন্ত বকেয়ার মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪৯ কোটি টাকা। এই অবস্থায় চলতি অর্থবর্ষে এ পর্যন্ত একটিও বাড়ি তৈরি করা যায়নি বলে অভিযোগ নবান্নের। কেন্দ্রের পাল্টা দাবি, চলতি অর্থবর্ষের জন্য ২৪ হাজার ১৬৬টি বাড়ি তৈরি করতে ইতিমধ্যেই ৩০২ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে তারা।

পুর এলাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নামে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে ২০১৫-য়। লক্ষ্য, ২০২২ সালের পরে শহরাঞ্চলে আর কোনও কাঁচা বাড়ি থাকবে না। ‘ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড’ মেনে সব রাজ্যকে বাড়ি তৈরি করতে বলা হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী, বাড়ির আয়তন হবে ৩০০ বর্গফুট। বাড়ি তৈরির সামগ্রীর মান তৃতীয় কোনও সংস্থাকে দিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে। উপভোক্তার নিজের জমি থাকতে হবে। তাঁর ভোটার পরিচয়পত্র, আধার কার্ড, জমির প্লট নম্বর, মৌজার নম্বর থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট পুরসভা সেই জমিতে বাড়ির বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করবে। বাড়ির সব অংশের ছবি তুলে তা ‘স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’ বা সুডা-র কাছে পাঠাতে হবে। তারা অনুমোদন দিলে তবেই বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হবে। কেন্দ্রও সেই মতো টাকা পাঠাতে শুরু করবে।

নবান্নের এক কর্তার দাবি, প্রকল্পটি কেন্দ্রের হলেও এতে রাজ্যই বেশি টাকা দেয়। এই প্রকল্পে বাড়ি পিছু খরচ ধরা হয়েছে ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। তার মধ্যে কেন্দ্র দেয় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, রাজ্য ১ লক্ষ ৯০ হাজার এবং উপভোক্তা ২৫ হাজার টাকা। পুর দফতর সূত্রের খবর, এই প্রকল্পে ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ৬৮ হাজার এবং ২০১৬-১৭ সালে ৭০ হাজার বাড়ি তৈরির কাজ হয়েছে। কিন্তু ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে একটি ইটও গাঁথা যায়নি।

রাজ্যের দাবি, এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ও বকেয়া মিলিয়ে ৪৪৯ কোটি টাকা পাওনা হয়েছে। দিল্লিতে বারবার দরবার করেও টাকা মেলেনি। ফলে বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্র প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব নিয়ে চলছে।’’

এই প্রকল্পে রাজ্যে ১২০টি পুরসভা ছাড়াও সাতটি কর্পোরেশন রয়েছে। যদিও কলকাতা ও হাওড়া পুরসভা শুরু থেকেই কোনও উৎসাহ দেখায়নি। কিন্তু কেন? কলকাতা পুরসভার বক্তব্য, তাদের কাছে এমন কোনও প্রস্তাবই আসেনি। আর হাওড়া পুরসভার চেয়ারম্যান রথীন চক্রবর্তী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমার কিছু জানাই নেই। প্রকল্পে যোগ দেওয়ার জন্য রাজ্যের পুর দফতর কোনও নির্দেশ পাঠিয়েছিল কি না, তার খোঁজ করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE