আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ। — ফাইল চিত্র।
সোমবার আরজি কর-কর মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তবে তার আগেই ‘জনতার মতামত’ নিতে রাস্তায় ‘আদালত’ বসাচ্ছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই ‘আদালতে’ই সাধারণ মানুষ জানাবেন নিজেদের মতামত। কয়েকটি প্রশ্ন রাখা হয়েছে জনতার প্রতি। সেই সব প্রশ্নের জবাব পেতেই নিজেদের ‘আদালত’ খুলছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই পথে নেমে আন্দোলন করছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে অবস্থানও চলছে। শুধু আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা নন, অন্যান্য হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও সেই অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। বিচারের দাবিতে স্বাস্থ্য ভবন, লালবাজার, রাজভবন অভিযানও করেছেন তাঁরা। গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে এক ঘণ্টা আলো নিবিয়ে মোমবাতি জ্বালানোর ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন শহরের বহু মানুষ। এ বার আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা নতুন কর্মসূচির ডাক দিলেন।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের তরফে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার জেলায় জেলায় সকাল ১০টা থেকে ‘অভয়া ক্লিনিক’-এর আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই ‘অভয়া ক্লিনিক’ সংলগ্ন এলাকাতেই ‘আদালত’ বসাচ্ছেন তাঁরা। সাধারণ মানুষকে সেই ‘আদালতে’ উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। জনতার কাছে কিছু প্রশ্ন রাখা হয়েছে। প্রথমেই জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘আন্দোলন কোন পথে চলছে?’ একই সঙ্গে তাঁরা এই আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেন কি না, তা-ও প্রশ্ন করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। পাশাপাশি, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে সাধারণ মানুষের মতামত জানতে চান তাঁরা। ‘অভয়া ক্লিনিক’ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় কি না, সে প্রশ্নের উত্তরও জনতার থেকে চান জুনিয়র ডাক্তারেরা। আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তে ‘পুলিশ এবং সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে’ সাধারণ মানুষের বক্তব্যও শুনতে চান তাঁরা।
‘অভয়া ক্লিনিক’ এবং ‘রাজপথে আদালত’ ছাড়াও রবিবার মানববন্ধনেরও ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। রবিবার বিকেল পাঁচটায় মানববন্ধন হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়াও, মধ্যরাতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডে মহিলা চিকিৎসকের খুনের বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। পা মেলাচ্ছেন তারকারাও। প্রথম দিন থেকে জুনিয়র ডাক্তারেরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় প্রতি দিনই কোনও না কোনও কর্মসূচির আয়োজন করছেন। সেখানে শুধু চিকিৎসকেরা নন, সাধারণ মানুষও যোগ দিচ্ছেন। আন্দোলনকারীরা আশাবাদী, রবিবারের কর্মসূচিতে মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ নেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy