অশান্তির ঘটনা সম্পর্কে সরেজমিন খোঁজ নিতে আসানসোলে কেন্দ্রীয় দল পাঠাচ্ছে বিজেপি। চার জনের ওই দলে আছেন রাজস্থানের ওমপ্রকাশ মাথুর, বিহারের শাহনওয়াজ হোসেন, বাংলার রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং ঝাড়খণ্ডের বিষ্ণু দয়াল রাম। যিনি প্রাক্তন আইপিএস। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের নির্দেশে গঠিত ওই দলের কাল, রবিবার আসানসোল যাওয়ার কথা। পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা রিপোর্ট দেবে শাহকে।
আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় থেকে শুরু করে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহেরা সকলেই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে প্রতিনিধিদল পাঠানোর দাবি জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাঁরা রাজ্যপালের কাছেও দাবি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর। তাঁদের অভিযোগ, অশান্তি সামাল দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বিজেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশও শুক্রবার মন্তব্য করেছেন, ‘‘বাংলা জ্বলছে! আর মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন!’’ এই পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাদের নিয়ে প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাহ।
তৃণমূল অবশ্য বিজেপির ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘প্রশাসন সহিষ্ণুতার সঙ্গে কাজ করছে। বিজেপির কিছু সাঙ্গপাঙ্গ বাংলার শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ওদের সঙ্গে মানুষ নেই। কেন্দ্রীয় দল পাঠাল কি না পাঠাল, তাতে কিছু যায় আসে না। বাংলার প্রশাসন সজাগ ও সচেষ্ট।’’ বিজেপির নেতারা যদিও বলছেন, এই দল কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ নয়। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্যোগ। এই পরিস্থিতিতে আজ, শনিবার রানিগঞ্জে বামেরা শান্তি মিছিল করবে। যেখানে থাকবেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।
বিজেপির মধ্যেই একাংশ অবশ্য প্রশ্ন তুলছে, শাহনওয়াজ যেখানকার সাংসদ ছিলেন, সেই ভাগলপুরে গোলমালের ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবের ছেলে অভিযুক্ত। আসানসোলে যেতে পারলে সেখানে কেন শাহনওয়াজ যাননি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy