প্রতীকী ছবি।
জেলায় কাজ করতে গিয়ে অনেক সময়েই মনের মতো থাকার জায়গা পান না বিদ্যুৎকর্মীরা। ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হয় নতুন ও পুরনো দুই শ্রেণির কর্মীদেরই। বিদ্যুৎকর্মীদের বাসস্থানের সমস্যা মেটাতে তাই এ বার তৈরি হবে আবাসন। ইঞ্জিনিয়ার, অফিসার এবং অন্য কর্মীরা যাতে রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কর্মস্থলের কাছে আরামে থেকে কাজ করতে পারেন, তার জন্যই এই নতুন ভাবনা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার।
বণ্টন সংস্থা সূত্রের খবর, সব আঞ্চলিক (রিজিওনাল) এবং কিছু বিভাগীয় (ডিভিশনাল) সদর দফতরের আশেপাশে সংস্থারই অব্যবহৃত জমিতে কর্মী আবাসন গড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই জন্য কোথায় কত জমি আছে, তার খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক বছরে বণ্টন সংস্থার কাজের পরিধি বেড়েছে। কিন্তু অনেকে অবসর নেওয়ায় কর্মী-সংখ্যা গিয়েছে কমে। এই মুহূর্তে সংস্থায় ১৪ হাজারের কিছু বেশি কর্মী আছেন। ২০১৯ সালের মধ্যে অবসর নেবেন আরও হাজারখানেক কর্মী। তাই সহকারী ইঞ্জিনিয়ার, সহ-সহকারী ইঞ্জিনিয়ার, অফিস এগ্জিকিউটিভ-সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ হয়েছে। কিন্তু বাসস্থানের অভাবে নতুন-পুরনো বহু অফিসার-ইঞ্জিনিয়ারই বারবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কর্তাদের কাছে। মনের মতো বাসস্থান মিলছে না বলে বহু জায়গায় যেতে চাইছেন না অনেকে। অথচ নবান্নের নির্দেশ, রাজ্যের সর্বত্র বিদ্যুৎ পরিষেবার মান আরও উন্নত করতে হবে। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন লোকবল ও সামাজিক পরিকাঠামো। অভাব দু’টিরই।
বণ্টন সংস্থার এক কর্তা জানান, কলকাতা, মেদিনীপুর, বর্ধমান, বহরমপুর ও শিলিগুড়ির জোনাল ম্যানেজারদের বলা হয়েছে, তাঁদের এলাকার ম্যানেজারদের কাছ থেকে অব্যবহৃত জমির তথ্য সংগ্রহ করে আবাসন তৈরির নির্দিষ্ট প্রস্তাব বিদ্যুৎ ভবনে পাঠাতে হবে। প্রকল্প-প্রস্তাব এলেই বোঝা যাবে, কোথায় কত জমি রয়েছে এবং ক’জন অফিসার-কর্মীর জন্য বাসস্থান তৈরি করতে হবে।
সংস্থার শিলিগুড়ি ছাড়া কয়েকটি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে কর্মী-অফিসারদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করা আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy