Advertisement
E-Paper

বিমান সরানোর ঘাঁটি কলকাতায়!

কলকাতা বা বেহালা বিমানবন্দরে, নিদেনপক্ষে অণ্ডালে সেই ঘাঁটি তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে এমআরও অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া। ওই সংগঠনের দাবি, এ রাজ্যে এমআরও তৈরি হলে রাজ্যের প্রচুর তরুণ-তরুণী চাকরি পাবেন।

সুনন্দ ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৩৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

হায়দরাবাদে রয়েছে। বেঙ্গালুরু, দিল্লি, মুম্বইয়েও আছে। কিন্তু কলকাতায় বিমান রক্ষণাবেক্ষণের ঘাঁটি (মেন্টেন্যান্স, রিপেয়ারিং অ্যান্ড ওভারহলিং বা এমআরও) নেই।

কলকাতা বা বেহালা বিমানবন্দরে, নিদেনপক্ষে অণ্ডালে সেই ঘাঁটি তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে এমআরও অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া। ওই সংগঠনের দাবি, এ রাজ্যে এমআরও তৈরি হলে রাজ্যের প্রচুর তরুণ-তরুণী চাকরি পাবেন। কলকাতার ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য এই এমআরও-র সুবিধা নিতে অনেক বিমান সংস্থা তাদের বিমান নিয়ে এই মহানগরে আসতে পারেন।

এমআরও মানে বিমানের মেন্টেন্যান্স (রক্ষণাবেক্ষণ), রিপেয়ারিং (সারাই) অ্যান্ড ওভারহলিং (পরীক্ষা)। ভারতে যে-সব বিমান নিয়মিত ওড়ে, তার কোনওটাই এ দেশে তৈরি হয় না। তার বেশির ভাগই আমেরিকা, ইউরোপে তৈরি। পরীক্ষা, সারাই বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেই সব দেশে বিমানটিকে ফের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কেননা খরচে পোষাবে না। এর আগে ওই সব বিমানকে দুবাই, সিঙ্গাপুরের মতো কাছাকাছি দেশে নিয়ে যেতে হত। এমআরও না-থাকায় বাংলাদেশের বিমানকে সারাইয়ের জন্য নিয়ে যেতে হয় সিঙ্গাপুরে।

এখন ভারতের বিভিন্ন শহরে এমআরও হাব তৈরি করে সেখানে বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। ব্যতিক্রম শুধু পূর্ব ভারত। এমআরও সংগঠনের দাবি, একটু উদ্যোগী হলেই কলকাতায় ওই ঘাঁটি গড়া সম্ভব। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি পুলক সেন জানান, অগ্‌জিলিয়ারি পাওয়ার ইউনিট (এপিইউ) নামে বিমানের যে-গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ রয়েছে, কলকাতা বিমানবন্দরের ভিতরে তার একটি এমআরও রয়েছে। কিন্তু সেটি ছোট এবং সেটি শুধু এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের একটি যন্ত্রাংশের জন্য তৈরি।

সংগঠনের বক্তব্য, বেহালা বিমানবন্দর খালি পড়ে রয়েছে। জায়গা আছে অণ্ডালেও। সেখানে বড় বিমানও ওঠানামা করতে পারে। অণ্ডালে এমআরও গড়ে উঠলে তার সহযোগী সংস্থা (বিমানের ছোটখাটো যন্ত্রাংশের জন্য) তৈরি করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কারণ, অণ্ডাল বিমানবন্দরের লাগোয়া প্রচুর জমি খালি পড়ে রয়েছে। ‘‘শুরুতে এমআরও গড়তে একটি হ্যাঙ্গার (যার তলায় বিমান থাকে, গ্যারাজ) এবং সংলগ্ন এক একর জমি হলেই যথেষ্ট। তার পরে এলাকা বাড়ান যেতে পারে,’’ বলছেন পুলকবাবু।

এই উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারকেও সামিল করতে চান পুলকবাবুরা। কাল, রবিবার সংগঠনের নেতারা কলকাতায় আসছেন। সংগঠন তৈরির সাত বছর পরে এই প্রথম পূর্ব কলকাতায় খোলা হবে সংগঠনের শাখা। সে-দিনই এমন সব ব্যবসায়ীকে আলোচনায় ডাকা হয়েছে, যাঁরা এমআরও ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। ডাকা হয়েছে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদেরও। কলকাতা ও বেহালা বিমানবন্দরের মালিক দেশের বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ এবং অণ্ডালের মালিক বিএপিএলের প্রতিনিধিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। উপস্থিত থাকার কথা বিভিন্ন উড়ান সংস্থার কর্তাদেরও।

Flight Maintenance MRO Repairing এমআরও
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy