পাশাপাশি: মুখ্যমন্ত্রী যে পথে পাহাড়ে যাবেন, সেই রাস্তায় মোর্চা ও তৃণমূলের পতাকা পাশাপাশি। নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে পাহাড়ে যেন প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও হিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাগডোগরা থেকে কালিম্পংয়ের যাত্রাপথের দু’ধারের ছবিটা তাই-ই বলছে। যেখানেই মোর্চার পতাকা, সেখানেই ঘাড়ের কাছে যেন নিঃশ্বাস ফেলছে তৃণমূলের ঘাসফুল। যদিও মোর্চার প্রধান বিনয় তামাং এবং হিল তৃণমূলের সভাপতি লালবাহাদুর রাই আলাদা ভাবে হলেও একই সুরে বলেছেন, ‘‘এখানে লড়াইয়ের কোনও ব্যাপার নেই। আমরা মিলেমিশেই পাহাড়ের উন্নয়নে সামিল। সেই কাজে যিনি আমাদের সব রকম সহযোগিতা করছেন, তাঁকে স্বাগত জানাতে তো দু’পক্ষেরই কোমর বাঁধা উচিত।’’
মুখ্যমন্ত্রীর এ বারের সফর পুরোপুরি প্রশাসনিক। আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বিকেলে বাগডোগরায় পৌঁছবেন। সেখান থেকে সোজা ডেলোর বাংলোয় যাবেন। মঙ্গলবার গ্রাহামস হোমের মাঠে মুখ্যমন্ত্রী ১৫টি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে উন্নয়ন নিয়ে পর্যালোচনা হবে। বুধবার জিটিএ ও হিল ডেভেলপমেন্ট কমিটি নিয়ে আলোচনা হবে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর শিলিগুড়িতে ফেরার কথা। সেখানে থেকে পর দিন তিনি কলকাতায় ফিরবেন। সব মিলিয়ে পুরোদস্তুর প্রশাসনিক কর্মসূচি হলেও আসন্ন জিটিএ ভোটের কথা মাথায় রেখে প্রায় সব দলই জনমত নিজেদের দিকে টানতে আসরে নেমেছে বলে প্রস্তুতি চিত্র বলছে।
যেমন, মোর্চার কথা ধরা যাক। আপাতত অস্থায়ীভাবে মনোনীত চেয়ারম্যান হিসেবে জিটিএ পরিচালনার ভার পেলেও আগামীতে জিটিএ ভোট হলে তাঁরাই যে রাজ্যের সঙ্গে মিলে উন্নয়নে গতি আনতে সফল হবেন, সেটাই বোঝাতে চাইছেন বিনয়রা। মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথের প্রতিটি পাহাড়ি জনপদে তাঁরা স্বাগত জানাতে তৈরি হয়েছেন। রাস্তায় যেখানে মোর্চা পতাকা টাঙিয়েছে, ব্যানার দিয়েছে, পাশেই দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের ব্যানার-পতাকা। হিল তৃণমূলের কয়েক জন নেতা জানান, তাঁরা পাহাড়ে যে এখন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ, সেটা গত বছরের পুরভোটের ফলেই স্পষ্ট হয়েছে। তবে মিরিক পুরসভার চেয়ারম্যান লালবাহাদুর রাই বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেই একাধিকবার বলেছেন, পাহাড়ে তিনি রাজনীতি করতে চান না। পাহাড়ে ভোট চাইতেও আসবেন না। আমাদের প্রস্তুতি জানানোর মধ্যে রাজনীতি খোঁজার মানে হয় না।’’
জিএনএলএফের সভাপতি মন ঘিসিং, অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগের সংযোগ তামাংরা অবশ্য আপাতত এ নিয়ে মন্তব্য করতে চান না। তাঁদের ঘনিষ্ঠজনদের কাছে জানা গিয়েছে, জিএনএলএফ, গোর্খা লিগের প্রতিনিধিরাও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানোর জন্য তৈরি। আগামী সেপ্টেম্বরে জিটিএ-র তত্ত্বাবধায়ক বোর্ডের দ্বিতীয় দফার ৬ মাসের মেয়াদ ফুরোবে। জিএনএলএফের এক নেতা জানান, তার পরে তৃতীয় দফায় তা বাড়ানো না হলে ভোট হবে, এটা ধরে নিয়েই চলছে যাবতীয় প্রস্তুতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy