Advertisement
E-Paper

চিকিৎসা-ঘাটতি জেলায়, নির্দেশ নয়া দাওয়াইয়ের

ওই নির্দেশিকায় জেলার কোভিড হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা শক্তিশালী করতে আট দফা দাওয়াই প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়টি যৌথ ভাবে দেখতে বলা হয়েছে জেলার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:৪৯
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ফাইল চিত্র।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ফাইল চিত্র।

জেলার কোভিড হাসপাতালগুলিতে প্রোটোকল মেনে চিকিৎসায় খামতি রয়েছে বলে সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ওই দফতর সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিভিন্ন জেলা ঘুরে করোনা চিকিৎসার বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরেন প্রোটোকল ম্যানেজমেন্ট দলের সদস্য-চিকিৎসকেরা। তারই প্রতিফলন ঘটেছে এ দিনের নির্দেশিকায়।

ওই নির্দেশিকায় জেলার কোভিড হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা শক্তিশালী করতে আট দফা দাওয়াই প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়টি যৌথ ভাবে দেখতে বলা হয়েছে জেলার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে গড়া প্রোটোকল ম্যানেজমেন্ট দল সম্প্রতি বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়া সফরে গিয়েছিল। তার পর ওই তিন জেলার জন্য একটি নির্দেশনামা তৈরি করা হয়। এ দিন সেটিই জারি করা হয়েছে সব জেলায়।

স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশ জানান, রাজ্যের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী ২৪ অগস্ট পর্যন্ত বাঁকুড়ায় কোনও করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি। তার পরে এক মাসে সেই জেলাতেই করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫২! কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা ও হুগলির পরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি পশ্চিম মেদিনীপুর (১২৯) এবং পূর্ব মেদিনীপুরে (১২৬)। ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুরুলিয়ায় মৃতের সংখ্যা ছিল দুই। সোমবারের পরে সেটা বেড়ে হয়েছে ১৭। সেপ্টেম্বরের গোড়ায় কোচবিহার এবং পূর্ব বর্ধমানে মৃতের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১০ এবং ১৯। সোমবারের পরে সেটা হয়েছে ৩৬ এবং ৫২। একই সময়ে নদিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৪১ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮২।

প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা হলে অনেক আক্রান্তকেই বাঁচানো যেত বলে মত স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশের। এক প্রশাসক-চিকিৎসক বলেন, ‘‘বাঁকুড়ার ওন্দায় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসকেরা রোগীদের যথাযথ ভাবে দেখছেনই না। সেখানে চিকিৎসাধীন, সংক্রমিত চিকিৎসক, নার্সেরাই এ কথা বলছেন।’’ প্রোটোকল ম্যানেজমেন্ট দলের এক সদস্য বলেন, ‘‘পশ্চিম মেদিনীপুরে পরিষেবার মান ভাল নয়।’’ জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবের অভিযোগও উঠছে। তবে এমন অভিযোগ খারিজ করে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, ‘‘চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট, যন্ত্রপাতি দিয়ে সব রকম সহযোগিতাই করা হচ্ছে।’’ পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পীতবরণ চক্রবর্তীর দাবি, বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসকদের দল তাঁদের কাজকর্মের প্রশংসাই করেছে।

Health Services Health Department
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy