Advertisement
E-Paper

তাপস-তদন্তে সিআইডি ডাকতে চাইছে সরকারই

এত দিন রাজ্য সরকারের আইনজীবী হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের পক্ষে সওয়াল করছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কল্যাণবাবু নিজেই বিচারপতি নিশীথা মাত্রের আদালতে জানিয়ে দিলেন, তাপসের উস্কানিমূলক বক্তব্য নিয়ে সিআইডি অনুসন্ধানে সরকার রাজি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:৪২

এত দিন রাজ্য সরকারের আইনজীবী হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের পক্ষে সওয়াল করছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কল্যাণবাবু নিজেই বিচারপতি নিশীথা মাত্রের আদালতে জানিয়ে দিলেন, তাপসের উস্কানিমূলক বক্তব্য নিয়ে সিআইডি অনুসন্ধানে সরকার রাজি।

আবেদনকারীর আইনজীবী অনিরুদ্ধ চট্টোপাধ্যায় বলেন, হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে সিআইডি-র উচ্চপদস্থ কোনও অফিসার তদন্ত করলে তাঁরা সেই ব্যবস্থা মেনে নিতে রাজি। আজ, শুক্রবারেও সওয়াল করার কথা অনিরুদ্ধবাবুর। চূড়ান্ত রায় দেবেন বিচারপতি মাত্রে। তা কোনও পক্ষের বিরুদ্ধে গেলে তারা আর ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারবে না।

১৪ জুন নদিয়ার পাঁচ জায়গায় তাপস পাল উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তার জেরে পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিল না, তা নিয়ে দায়ের করা মামলায় রাজ্য সরকার আবেদনকারীর বিপক্ষেই মত প্রকাশ করেছিল। সেই অবস্থান থেকে এ দিন তারা কেন এতটা সরে এল? কেন তারা নিজে থেকেই সিআইডি তদন্ত চাইল?

হাইকোর্টের বহু আইনজীবীই বলছেন, সরকার পক্ষ এই মামলায় বিচারপতি মাত্রের মনোভাব বুধবারেই বুঝে গিয়েছিল। তাই সরকারের মনোভাবের এমন পরিবর্তন।

বুধবার কী বলেছেন বিচারপতি?

বিচারপতি মাত্রে মন্তব্য করেন, তাপস শাসক দলের সাংসদ বলেই সরকার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে তাঁর মনে হচ্ছে। সরকার তাপসকে আড়াল করতে চাইছে কি না, প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। সরকারকে এই মামলায় নিরপেক্ষ থাকতে বলেন তিনি। সরকারি আইনজীবীকে বলেন, তিনি রাজ্যের আইনজীবী। তাঁকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। তিনি কারও হয়ে সওয়াল করতে পারেন না।

তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ কিছু আইনজীবীর বক্তব্য, প্রথম থেকেই এই মামলায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল হাইকোর্ট। সারদা কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্ত নিয়ে রাজ্য ও তৃণমূল নাজেহাল। এই অবস্থায় তাপস-মামলার একটা সম্মানজনক সমাধান চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই কল্যাণবাবু নিজেই এ দিন আদালতে সিআইডি তদন্তের প্রসঙ্গ তোলেন।

কল্যাণবাবু কী সওয়াল করেছেন?

কল্যাণবাবু জানান, ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১২ নম্বর অধ্যায় মেনে এই মামলায় অনুসন্ধানে সরকার রাজি। সরকারের প্রস্তাব, নদিয়ায় কর্মরত সিআইডি-র কোনও অফিসার এই অনুসন্ধান করুন। আইনজীবীরা জানান, দণ্ডবিধির ওই অধ্যায় অনুযায়ী পুলিশ কোনও ঘটনার কথা জানতে পারলে তার অনুসন্ধান করবে। তারা যদি দেখে ওটা আদালতগ্রাহ্য অপরাধ, তা হলে এফআইআর করে তদন্ত চালাবে। আর আদালতগ্রাহ্য অপরাধ যদি না-হয়, সংশ্লিষ্ট এলাকার ম্যাজিস্ট্রেটকে রিপোর্ট দিয়ে পুলিশ তা জানিয়ে দেবে।

কল্যাণবাবুদের প্রস্তাবে মামলার আবেদনকারী বিপ্লব চৌধুরী রাজি কি না, তা তাঁর আইনজীবী অনিরুদ্ধবাবুর কাছে জানতে চান বিচারপতি মাত্রে। অনিরুদ্ধবাবু বলেন, রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে এই ব্যাপারে যথাযথ নির্দেশ দিতে হবে সিআইডি-র ডিআইজি-কে। আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হলে তাঁদের অসুবিধা নেই। তিনি জানান, ২ জুলাই অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে পুলিশ ওই সাংসদকে এক বারও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। অথচ সাংসদ স্বীকার করেছেন, ওই উস্কানিমূলক বক্তব্য তাঁরই। সাংসদের কাছে রিভলভার রাখার লাইসেন্স আছে কি না, পুলিশ তা-ও তদন্ত করে দেখেনি।

আজ, শুক্রবারেও শুনানি হবে।

tapas pal case cid state state news latest news online news tapas pal mamata banerjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy