Advertisement
E-Paper

‘র‌্যাগিং’ মামলায় বর্ধমান মেডিক্যালের আইনজীবী কই? মুখ্যসচিবকে ইমেল করলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা

গত ১১ সেপ্টেম্বর ইশা পাল-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রী। তাঁদের কলেজ এবং হস্টেলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন কর্তৃপক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:১৫
Why there is no lawyer for Bardhaman Medical College, junior doctors emailed the chief secretary

রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সাত পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করার মামলার শুনানিতে কলেজের পক্ষে কেন কোনও আইনজীবী নেই? প্রশ্ন তুলে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্‌স’ ফ্রন্ট। একই সঙ্গে আগামী সোমবারের শুনানিতে যাতে কলেজের পক্ষে আইনজীবী এজলাসে উপস্থিত থাকেন, তা নিশ্চিত করার অনুরোধও করেন ফ্রন্টের জুনিয়র ডাক্তারেরা।

গত ১১ সেপ্টেম্বর ইশা পাল-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রী। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাত জন পড়ুয়ার কলেজ এবং হস্টেলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার পরই অভিযুক্ত সাত পড়ুয়া কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। গত শুক্রবারের শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত কলেজ কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন। হাই কোর্ট জানায়, আপাতত ওই পড়ুয়ারা ক্লাস করতে পারবেন। তবে এখনই হস্টেলে প্রবেশ করতে পারবেন না। সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন সব পক্ষকে নিজেদের বক্তব্য জানাতে হবে বলে জানায় আদালত।

সোমবার শুনানির আগে রবিবার দুপুরে মুখ্যসচিবকে পাঠানো ইমেলের ছত্রে ছত্রে ছিল উদ্বেগের কথা। সেখানে উল্লেখ, শুনানিতে কোনও আইনজীবী হাজির না থাকায় কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য আদালত জানতে পারছে না। ইমেলে আরও জানানো হয়েছে, অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ শুনানির প্রথম দিন কলেজের পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না। পরের শুনানি ৭ অক্টোবর এবং ৫ নভেম্বরের শুনানিতে রাজ্যের তরফে আইনজীবী ছিলেন। তবে, ৮ নভেম্বর রাজ্যের আইনজীবী আদালতে জানান, কলেজের পক্ষে সওয়াল করার এক্তিয়ার নেই তাঁর। ১১ নভেম্বরের শুনানিতে কলেজকে তাদের বক্তব্য পেশের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। জুনিয়র ডাক্তারেরা জানিয়েছেন, সোমবারও যদি কোনও আইনজীবী উপস্থিত না থাকেন, তবে তা জানানো সম্ভব হবে না। এমনকি, রাজ্য এবং কলেজের তরফে কোনও হলফনামাও জমা দেওয়া হয়নি। এতে সুবিধা পাচ্ছেন ‘অভিযুক্তে’রাই। কলেজের ‘হুমকি সংস্কৃতি’ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। সোমবার যাতে কলেজের অধ্যক্ষের তরফে আইনজীবী থাকেন, তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।

আরজি কর-কাণ্ডের আবহে রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ‘দাদাগিরি’ চালানোর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। এই নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ ওঠে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেও। একে একে উঠে আসে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে-দের নাম। তাঁদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য দফতর ব্যবস্থা নেয়। সাসপেন্ড করা হয় বিরূপাক্ষদের।

Junior Doctors Manoj Pant Bardhaman medical College Calcutta High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy