Advertisement
E-Paper

ফেসবুক কাণ্ডে আত্মহত্যার হুমকি অন্তঃসত্ত্বার

শনিবার শহরের অভিযাত্রীপাড়ার বাড়িতে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রিয়দর্শিনী। দু’দিন আগেই পুলিশের বিরুদ্ধে মানসিক চাপ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের কাছে লিখিত স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেছিলেন তাঁর স্বামী দেবজিৎ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৩৮
প্রিয়দর্শিনী রায়। —নিজস্ব চিত্র।

প্রিয়দর্শিনী রায়। —নিজস্ব চিত্র।

রবিবারও স্বামী জামিন না পেলে প্রকাশ্যে আত্মঘাতী হওয়ার হুমকি দিলেন ফেসবুক কাণ্ডে ধৃত দেবজিৎ রায়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ জন্য এক পুলিশ আধিকারিকই দায়ী থাকবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন বালুরঘাটের ওই বধূ, প্রিয়দর্শিনী রায়।

শনিবার শহরের অভিযাত্রীপাড়ার বাড়িতে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রিয়দর্শিনী। দু’দিন আগেই পুলিশের বিরুদ্ধে মানসিক চাপ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের কাছে লিখিত স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেছিলেন তাঁর স্বামী দেবজিৎ। পুলিশের বিরুদ্ধে ফেসবুকে সরব হওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দীর্ঘক্ষণ থানায় বসিয়ে রাখার পরে রাতে গ্রেফতার করা হয় দেবজিৎ ও ব্যাঙ্ককর্মী অনুপম তরফদারকে। শুক্রবার আদালতে তোলার পর দু’জনেরই দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ, রবিবার দু’জনকেই ফের আদালতে তোলা হবে।

বালুরঘাটের ডিএসপি সৌম্যজিৎ বড়ুয়া বলেন, ‘‘ওঁদের একাধিকবার থানায় দেখা করতে বলা হলেও আসেননি। থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা হলেও কোনও সহায়তা করেননি। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, উত্তেজনা ছড়ানো ও তথ্য গোপনের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

ঘটনার সূত্রপাত পুজোর সময়। পুজোর দিনগুলিতে বিকেল ৪টা থেকে পরদিন ভোর ৪টে পর্যন্ত বালুরঘাট শহরে বাইক ও ছোটগাড়ি চলাচলের উপর পুলিশি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রিয়দর্শিনীদেবী জানান, দেবজিৎ বাচ্চাকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে টোটো না পেয়ে চরম সমস্যায় পড়েন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর অনেকটা পথ তাঁকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়। সেই দুর্ভোগের কথা ফেসবুকে লিখেছিলেন তিনি। পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও ‘বিরূপ’ সমালোচনা লেখেননি। অথচ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক ওই পোস্ট মুছে পাল্টা ক্ষমা চেয়ে পোস্ট করতে চাপ দেন। না হলে তাঁকে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘ওই পুলিশ আধিকারিকের চাপের কাছে নত না হয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।’’ দক্ষিণ দিনাজপুরের এসপি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করতে চাননি।

এই গ্রেফতারির প্রতিবাদে শুক্রবার বালুরঘাটে নাগরিকরা মৌনমিছিল করলে তা আটকে দেয় পুলিশ। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বালুরঘাটের প্রবীণ বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরীও। তিনি বলেন, ‘‘এই ভাবে সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা যত হবে, প্রতিবাদ তত বাড়বে।’’ তবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘ভোগান্তি রুখতে ভাল পদক্ষেপ করেছিল পুলিশ। কিন্তু সরকারকে হেয় করতে কয়েকজন পুলিশকে টার্গেট করে।’’ এর পিছনেও বিরোধীদের উস্কানি রয়েছে বলেও তাঁর দাবি।

Priyadarshini Roy Facebook প্রিয়দর্শিনী রায়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy