Advertisement
E-Paper

ছুটির পরে দাড়িভিটে স্কুল খুলবে কি, প্রশাসনই কাঠগড়ায়

এখনও খোলেনি দাড়িভিট হাইস্কুল। পুজোর ছুটির পর ১০ নভেম্বর সমস্ত স্কুল খুলবে। কিন্তু দাড়িভিট স্কুল খুলবে কিনা কেউ বলতে পারছেন না। এ দিকে, সিবিআই তদন্ত করানো হলে তবেই স্কুল খুলতে দিতে রাজি নিহতের পরিবারের লোকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৫৭
ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুল।—নিজস্ব চিত্র।

ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুল।—নিজস্ব চিত্র।

এখনও খোলেনি দাড়িভিট হাইস্কুল। পুজোর ছুটির পর ১০ নভেম্বর সমস্ত স্কুল খুলবে। কিন্তু দাড়িভিট স্কুল খুলবে কিনা কেউ বলতে পারছেন না। এ দিকে, সিবিআই তদন্ত করানো হলে তবেই স্কুল খুলতে দিতে রাজি নিহতের পরিবারের লোকেরা। তবে তা নিয়ে প্রশাসনিক ভাবে কোনও উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

স্কুল না খোলার পিছনে প্রশাসনের সার্বিক গাফিলতিকেই দায়ী করছে বিজেপি। মহকুমা প্রশাসন কেন ওই এলাকায় গিয়ে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

এলাকার প্রায় ১৯০০ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে পড়ুয়া থেকে অভিভাবক প্রত্যেকেরই। ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল অগ্রবাল অবশ্য বলেন, ‘‘সিবিআই তদন্তের দাবিতে তো ওরা মামলা করেছে। সেখানেই যা নির্দেশ মিলবে, তাই হবে। অভিভাবক ও পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলছি যাতে স্কুল খোলা যায়।’’

অন্য দিকে, বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘স্কুল খোলার বিষয় নিয়েই মহকুমাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। নিহতদের পরিবারের নম্বরও দিয়ে এসেছি যোগাযোগের জন্য। অথচ মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেই ওই এলাকায় গিয়েই যোগাযোগ করল না।’’

নিহতদের পরিবারের দাবি, শর্ত মেনে স্কুল খুলতে হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই তা করতে হবে। থাকতে হবে স্কুল পরিচালন সমিতির প্রত্যেক সদস্যকে। অথচ ঘটনার পর থেকে কোনও প্রশাসনিক আধিকারিককে এলাকায় তেমন নজরে পড়েনি বলেই বাসিন্দাদের অভিযোগ। স্কুল খোলা নিয়ে জেলার স্কুল পরিদর্শকের বৈঠকের কথা থাকলেও তাঁরা উপস্থিত না-হওয়ায় বৈঠক বাতিল হয়। পুজোর আগে স্কুল খুলতে শিক্ষকেরা কয়েকজন দু’দিন এলাকায় গেলেও বাধার মুখে পড়তে হয় শিক্ষকদের। ভারপ্রাপ্ত ডিআই সুজিতকুমার মাইতি বলেন, ‘‘প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা চলছে। এর থেকে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’ যদিও মহকুমাশাসক মণীশ মিশ্রকে ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি। হোয়াট্সঅ্যাপে মেসেজ করা হলেও তিনি কোন সাড়া দেননি।

শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে গত ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিটে বোমা-গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই তরুণ নিহত হন। ঘটনার পর এক মাস পেরিয়ে গিয়েছে। পুজোর ছুটির আগে স্কুল যেতে পারেননি পড়ুয়ারা। মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার কী হবে তা নিয়েও চিন্তিত সকলে। সিপিএমের ইসলামপুর এক নম্বর কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন, ‘‘প্রশাসনকেই এগিয়ে আসতে হবে স্কুল খোলার বিষয়ে। তাহলেই সমস্যা মেটানো সম্ভব।’’

Darivit School Violence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy