Advertisement
E-Paper

কুপিয়ে খুন মাকে,  দুধের মেয়েকে গলা টিপে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার চক্রবর্তী-আবাদ এলাকায় ঘরজামাই থাকেন আজিজুল মোল্লা। পেশায় সাইকেল মিস্ত্রি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৫
ধৃত: মুর্শিদা বিবি। নিজস্ব চিত্র।

ধৃত: মুর্শিদা বিবি। নিজস্ব চিত্র।

বাইশ দিনের মেয়েকে গলা টিপে খুন করার সময় মা বাধা দিয়েছিলেন। তাই প্রথমে মাকেই দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করে মুর্শিদা বিবি। মায়ের দেহ বাড়ির পিছনের পুকুর পাড়ে ফেলে আসার পরে খুন করে নিজের দুধের শিশুকে। ছুড়ে ফেলে দেয় পাশের কলাবাগানে। তার পর নিজে গিয়ে ঢোকে প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাঙ্কে। সোমবার রাতে সেখান থেকেই তাকে উদ্ধার করেন গ্রামের লোকেরা। টানা জেরার পরে মঙ্গলবার মুর্শিদা বিবি (৩০) জোড়া খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি। এ দিনই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার চক্রবর্তী-আবাদ এলাকায় ঘরজামাই থাকেন আজিজুল মোল্লা। পেশায় সাইকেল মিস্ত্রি। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন ঘর তালাবন্ধ। প্রতিবেশীদের কাছে স্ত্রী ও শাশুড়ির খোঁজ করেন আজিজুল। সবাই মিলে খোঁজার পরে পুকুর পাড় থেকে মেলে শাশুড়ি সায়রা বেওয়ার (৬২) রক্তমাখা দেহ। রাত আরও বাড়লে এক প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে গোঙানির আওয়াজ শুনতে পান গ্রামের লোকেরা। সেখানে মেলে মুর্শিদা বিবিকে।

মুর্শিদা দাবি করেন, এক দল দুষ্কৃতী তার মাকে খুন করে মেয়েকে নিয়ে চলে গিয়েছে। যাওয়ার সময় তাকে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু এই বয়ান পুলিশের বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়নি। কারণ, দুষ্কৃতীরা লুঠ করে ঘরে তালা ঝুলিয়েছে, এটা হয় না। তা ছাড়া, কোনও জিনিস লুঠ হয়নি বলেও জানান আজিজুল।

এই অবস্থায় আজিজুলকে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তিনি জানান, মেয়ে হওয়ার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল মুর্শিদা। বাচ্চাকে গলা টিপে মেরে ফেলার হুমকি দিত সে। মাকেও মেরে ফেলার কথা বলত। এমনকী তাঁকেও বেশ কয়েক বার মারধর করেছে মুর্শিদা।

পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুরে মুর্শিদাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। অবশেষে চাপের মুখে সে ভেঙে পড়ে। স্বীকার করে মা ও মেয়েকে খুন করার কথা। তার পরেই কলাবাগান থেকে উদ্ধার হয় বাইশ দিনের শিশুটির দেহ।

Murder Crime Mother দক্ষিণ ২৪ পরগনা Daughter
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy