দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর।—ফাইল চিত্র।
বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক উৎসবে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে আরও কয়েক ধাপ এগোল রাজ্য। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় পুরুষ-মহিলা আনুপাতিক হারের গড় ১০০০:৯৪৯। ২০১৮ সালের তালিকায় সেটা ছিল ১০০০:৯৪২। রাজ্যে গড়ে মহিলা ভোটার বৃদ্ধির হার সাত। এ ক্ষেত্রে অন্য জেলাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে মুর্শিদাবাদ। সেখানে মহিলা ভোটার বৃদ্ধির গড় হার ১৭।
সোমবার রাজ্যের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরের খসড়া তালিকায় রাজ্যে ভোটার ছিলেন ৬,৮০,৫০,৫৯৫ জন। এ বার তা হয়েছে ৬,৯৭,৬০,৮৬৮। অর্থাৎ বৃদ্ধি ১৭,১০,২৭৩। পুরুষ ভোটার ৩,৫৭,৮৩,৪৬৩ জন। মহিলা ৩,৩৯,৭৫,৯৭৯ জন। এ বার ভোটার হতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন ২৩,৮৫,৭২৬ জন। উঠেছে ২০,৬৭,৩০৩ জনের নাম। তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েছে ৩,৫৭০৩০ জনের। প্রায় ২.৫১ শতাংশ নাম তালিকায় নতুন নথিভুক্ত হয়েছে। এই তালিকা ধরেই আগামী লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে এ দিনই ফের নাম সংযোজন বা বিয়োজনের কাজ শুরু হল। চলবে সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত।
মহিলা ভোটারের হার বৃদ্ধিতে খুশি রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতর। এক কর্তা বলেন, ‘‘জাতীয় নির্বাচন কমিশন চায়, কোনও ভোটারের নাম যেন তালিকার বাইরে না-থাকে। বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল মহিলাদের নাম সংযোজনের বিষয়টিকে।’’
মহিলাদের ক্ষেত্রে রাজ্যের গড় হার ৯৪৯ হলেও সব জেলাকে পিছনে ফেলেছে মুর্শিদাবাদ। সেখানে ২০১৮ সালে গড় হার ছিল ৯৪১। এ বার তা বেড়ে হয়েছে ৯৫৮। চূড়ান্ত তালিকায় তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১,৪২৬ জন। প্রতিবন্ধী ভোটারদের নাম তালিকাভুক্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল সিইও দফতর। এ-পর্যন্ত এই শ্রেণির ১,৬৫,৭৫৭ জন ভোটারের নাম রাজ্যের তালিকায় উঠেছে। তবে তাঁদের নাম পৃথক ভাবে তালিকায় চিহ্নিত নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy