রাজা দেবনারায়ণ পাণিগ্রাহী
ক’দিন পরেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল। মুম্বই থেকে ফোন করে জানানো হল, রাশিয়ার উপকূলে জাহাজে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
খবরটি আসে বুধবার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপের ৮ নম্বর কালীনগর পূর্ব গঙ্গাধরপুর এলাকার পাণিগ্রাহী পরিবারের একমাত্র সন্তান রাজা দেবনারায়ণ পাণিগ্রাহীর (২৫) জাহাজে আগুন লেগে মৃত্যু হয় মঙ্গলবার।
রাজার বাবা দেবব্রত কাকদ্বীপে দলিল লেখার কাজ করেন। রাজার মৃত্যুসংবাদ আসার পর রাজার বাড়ির লোকজন মুম্বইয়ের ‘নিম্বাস মেরিন এজেন্ট কোম্পানি’র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই এজেন্ট কোম্পানির মাধ্যমেই মুম্বই থেকে কিছু দিন আগে ক্যান্ডি জাহাজে উঠেছিলেন রাজা। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুম্বই থেকে সেই জাহাজ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রাশিয়ায় পৌঁছয়। সব খবরই বিভিন্ন সূত্র মারফত জানতে পেরেছে পানিগ্রাহী পরিবার।
প্রথমে রাজার পরিবারকে জানানো হয়েছিল, নিখোঁজ হয়েছেন রাজা। এর পরই নিম্বাস মেরিন এজেন্টের মাধ্যমে রাজার দেহ ময়না-তদন্তের জন্য অনুমতি চেয়ে একটি ফর্ম আসে তাঁর পরিবারের কাছে। তার পরেই পরিবারের সদস্যরা মেরিন এজেন্টকে চাপ দিলে, তারা রাজার মৃত্যুর খবর জানিয়ে একটি মেল পাঠায় বলে পরিবারের দাবি। তবে রাজার মৃতদেহ এখন কোথায় এবং তা কী ভাবে বাড়িতে আসবে, এ সব প্রশ্নে বিচলিত হয়ে আছে তাঁর পরিবার।
রাজার এক আত্মীয় নবনীতা বেরা বলেন, ‘‘কাকদ্বীপের হিরণ্ময় বিদ্যাপীঠ থেকে বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন রাজা। পরে হলদিয়ায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে। ওর বোনও হলদিয়াতেই আইন নিয়ে পড়ছে।’’ নবনীতা আরও জানান, হলদিয়া থেকে পাশ করার পর জাহাজে এটাই ছিল রাজার প্রথম চাকরি। ২৮ জানুয়ারি ও বাড়ি ফিরত। ওর এখানকার বন্ধুরা ওকে নিয়ে পিকনিক করার পরিকল্পনাও করে রেখেছিলেন।
রাজার পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজার দেহ আনার
অনুমতি চেয়ে কাকদ্বীপ কোস্টাল থানার কাছে আবেদন করে অনুমতি নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy