প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। এ বার তাই পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৯টি আসনের ১৯টিই দখল করতে হবে। সে জন্য এখন থেকে জনসংযোগে ঝাঁপাতে হবে। সোমবার মেদিনীপুরে এসে দলের নেতা-কর্মীদের এই বার্তাই দিয়ে গেলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’লক্ষেরও বেশি টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে অনেক অনেক কাজ করেছেন। এই কাজ বিগত ৩৪ বছরের বাম- জমানায় হয়নি। ৫০ বছরেও কেউ করতে পারবে না।”
এ দিন বিকেলে মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরে দলের জেলা কার্যালয়ে আসেন শুভেন্দুবাবু। খোশমেজাজে দীর্ঘক্ষণ নেতা- কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, দলের মহিলা নেত্রী তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ, প্রদ্যোত্ ঘোষ, শ্যামপদ পাত্র, অজিত মাইতিরা। দুপুরে বিদ্যাসাগর সমবায় ব্যাঙ্কের এক বৈঠকে যোগ দেন শুভেন্দু। বৈঠক শেষে দলের জেলা কার্যালয়ে যান। সন্ধ্যায় এখান থেকে যান শহর কংগ্রেস সভাপতি তথা কাউন্সিলর সৌমেন খানের বাড়িতে। এ দিন সৌমেনবাবুর মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ছিল। শহরের এই কাউন্সিলরের সঙ্গে শুভেন্দুর সম্পর্ক বহু পুরনো।
তৃণমূল সূত্রে খবর, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় শুভেন্দু জানিয়ে দেন, জঙ্গলমহলে তৃণমূল শান্তি দিয়েছে, উন্নয়ন দিয়েছে। ২০ হাজার ছেলেমেয়ে জুনিয়র কনস্টেবল, এনভিএফে চাকরি পেয়েছে। এটাই হল পরিবর্তন। এই শান্তি বজায় রাখতে হবে। বিরোধীরা কুত্সা-অপপ্রচার করলে উন্নয়নের পরিসংখ্যান তুলে তার জবাব দিতে হবে। নেতা- কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় তমলুকের তৃণমূল সাংসদের বার্তা, বিগত দিনে এই জেলায় তৃণমূল লড়াই করেছে শান্তির পক্ষে। এ বার লড়াই শান্তিকে ধরে রেখে উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। যে সব আসন দখলে রয়েছে, সেখানে ব্যবধান বাড়াতে হবে। যে সব আসন দখলে নেই, সেগুলি দখল করতে হবে। জেলার সব আসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দিতে হবে।
নয়াগ্রাম, লালগড়ে সেতু উদ্বোধন করতে পশ্চিম মেদিনীপুরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের এক সূত্রে খবর, এ দিন আলোচনায় শুভেন্দু বলেন, “নয়াগ্রামে সেতু হবে, লালগড়ে সেতু হবে, কেউ ভেবেছিল? সব মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলা আজ মডেল” রাজ্য সরকারের কাজকে আরও বেশি প্রচারের আলোয় নিয়ে আসারও পরামর্শ দেন তৃণমূল সাংসদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy