Advertisement
E-Paper

চ্যাংদোলা করে পুলিশ গাড়িতে তুলল কুণালকে

আদালত থেকে প্রায় চ্যাংদোলা করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হচ্ছে ছোটখাটো চেহারার এক ব্যক্তিকে। তাঁকে ঘিরে রেখেছেন জনা পঞ্চাশ পুলিশকর্মী। ওই অবস্থায় তারস্বরে চিৎকার করছেন তিনি। বলছেন, “পুলিশ আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে!” মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১টায় সল্টলেক আদালতের পিছনের রাস্তায় এই দৃশ্য দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন অনেকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৪ ০২:৪৮
সল্টলেক আদালতের বাইরে কুণাল ঘোষকে টানাহেঁচড়া পুলিশের। ছবি: শৌভিক দে।

সল্টলেক আদালতের বাইরে কুণাল ঘোষকে টানাহেঁচড়া পুলিশের। ছবি: শৌভিক দে।

আদালত থেকে প্রায় চ্যাংদোলা করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হচ্ছে ছোটখাটো চেহারার এক ব্যক্তিকে। তাঁকে ঘিরে রেখেছেন জনা পঞ্চাশ পুলিশকর্মী। ওই অবস্থায় তারস্বরে চিৎকার করছেন তিনি। বলছেন, “পুলিশ আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে!”

মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১টায় সল্টলেক আদালতের পিছনের রাস্তায় এই দৃশ্য দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন অনেকে। তত ক্ষণে অনেকেই চিনে ফেলেছেন ফর্সা মানুষটিকে। তিনি সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ।

কিন্তু এ ভাবে তাঁকে পুলিশের গাড়িতে তোলা হচ্ছিল কেন?

সারদা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হওয়ার আগে-পরে বারবার সরব হয়েছেন কুণাল। অনেকের সম্বন্ধে তাঁর অনেক কিছু বলার আছে এবং যথাসময়ে তা জানাবেন বলে হুমকিও দিয়েছেন। গ্রেফতারের পরেও নানা ভাবে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন তিনি। গত এপ্রিলে আদালতে হাজিরার সময়ে চিৎকার করে তৃণমূলের অনেক নেতানেত্রীর সম্পর্কে অভিযোগ তুলেছিলেন কুণাল। পুলিশ সে-বার অনেক চেষ্টা করেও নিরস্ত করতে পারেনি তাঁকে। সেই জন্য এ দিন আগে থেকেই এ ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন পুলিশকর্তারা। সাংবাদিকেরা যাতে কোনও ভাবেই কুণালের কাছাকাছি পৌঁছতে না-পারেন, সেই জন্য কার্যত পুলিশ দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল সল্টলেক আদালত-চত্বর। আদালতের বাইরে প্রিজন ভ্যান থেকে নামতে না-নামতেই পুলিশবাহিনী তাঁকে ঘিরে ফেলে। ভ্যানের সিঁড়ি থেকে হ্যাঁচকা টানে তাঁকে নামিয়ে নেওয়া হয়।

এ দিন সল্টলেক আদালতে সারদা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং কর্মীদের বেতন না-দেওয়া সংক্রান্ত দু’টি মামলার শুনানি ছিল। কুণাল ছাড়াও সকাল ১০টার কিছু পরে একে একে হাজির করানো হয় সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন, সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও সোমনাথ দত্তকে। সল্টলেক আদালতে এ দিন আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলছিল। তাই ওই দু’টি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে সব অভিযুক্তকে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বেলা পৌনে ১টা নাগাদ কুণালকে বাদ দিয়ে অন্য অভিযুক্তদের আদালতের সামনের গেট থেকে নীচে নামিয়ে প্রিজন ভ্যানে জেলে পাঠানো হয়। পরে লিফটে নীচে নামানো হয় কুণালকে। ওই সাংসদ সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের দেখে কিছু বলার চেষ্টা করতেই তাঁকে কার্যত ধাক্কা দিতে দিতে আদালতের পিছনের গেট থেকে বার করা হয়। সাংবাদিকদের দেখে চিৎকার করতে থাকেন কুণাল। কিন্তু পুলিশি বেষ্টনীর মধ্যে পিছনের গেটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে তাঁকে প্রায় চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে বেরিয়ে যান পুলিশকর্মীরা।

sarada kunal ghosh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy