আদালতের অনুমতি মিলেছিল দিন চারেক আগেই। সেই অনুযায়ী এ বার জেলের মধ্যেই সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়লেন রাজ্যের ক্রীড়া ও পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র। সিবিআইয়ের একটি দল মঙ্গলবার বেলা ৩টে নাগাদ আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে জেরা করে মন্ত্রীকে। তার পরে আরও এক ঘণ্টা জেরা করা হয় সারদা কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত, রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল রজত মজুমদারকে।
জেলে গিয়ে পরিবহণমন্ত্রীকে জেরা করার ব্যাপারে আলিপুরের বিশেষ আদালতের বিচারক হারাধন মুখোপাধ্যায় সিবিআই-কে অনুমতি দেন ১৬ জানুয়ারি। আদালত তাদের জানায়, সিবিআই চলতি মাসের ১৭ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে জেলে মদনবাবুকে জেরা করতে পারবে।
সেই সময়সীমার এক দিন বাকি থাকতেই, মঙ্গলবার মদনবাবুকে জেরা করার জন্য জেলে হাজির হন সিবিআইয়ের প্রতিনিধিরা। জেলের কার্যালয়ের একটি ঘরে ক্রীড়ামন্ত্রীর আইনজীবীর সামনেই তাঁকে জেরা করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার। জেলের এক অফিসারও সেখানে হাজির ছিলেন। পরে জেলের ওই অফিসঘরেই জেরা করা হয় রজতবাবুকে। সোমবার প্রাক্তন ওই পুলিশকর্তাকে এক দফা জেরা করেছিল সিবিআই। শুধু রজতবাবুকে নয়, সিবিআই সে-দিন জেলে গিয়ে জেরা করেছিল সারদা কেলেঙ্কারিতে অন্য দুই অভিযুক্ত, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তা দেবব্রত (নিতু) সরকার এবং ব্যবসায়ী সন্ধির অগ্রবালকেও।
মঙ্গলবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি অফিসে হাজিরা দেন ব্যবসায়ী শান্তনু ঘোষ। এর আগে তলব করা হলেও তিনি হাজিরা দিতে পারেননি। ইডি-র অফিসারেরা প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁর বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়। তাঁকে কিছু নথি জমা দিতে বলেছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy