সারদা কেলেঙ্কারিতে বিড়ম্বিত শাসকদল। গ্রেফতার হচ্ছেন একের পর এক নেতা-মন্ত্রী। অনেকে জেরার মুখেও পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে সমবায় ব্যাঙ্কের তৃণমূল প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠনের সম্মেলনে এসে স্বচ্ছ থাকার বার্তা দিলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার মেদিনীপুরে তিনি বলেন, “নিজে স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন থাকবেন। অন্যকেও স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন থাকতে উৎসাহিত করবেন। আপনি যদি নিজে ভাল না থাকেন, নিজের দক্ষতা যদি প্রমাণ করতে না পারেন, তা হলে কোনও ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল কিংবা সরকার কিন্তু আপনাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসবে না।”
কর্মচারীদের উদ্দেশে শুভেন্দু এ-ও বলেন, “আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে আমরা কোনও সমঝোতা করব না।” এমনিতে যে কোনও রাজনৈতিক দলের এটাই অবস্থান। কিন্তু সারদা কেলেঙ্কারির প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
শনিবারই মেদিনীপুরে এসে দলের নেতা-কর্মীদের স্বচ্ছ থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রবীণ শ্রমিক নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এ বার সেই একই সুর শোনা গেল তমলুকের সাংসদ শুভেন্দুর গলায়। এ দিন বিদ্যাসাগর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের তৃণমূল প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠনের সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছিলেন শুভেন্দু। তিনি এই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান। সপ্তাহ কয়েক আগে এই সমবায় ব্যাঙ্কের বাম প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠনের সম্মেলনেও যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে। শুভেন্দু অবশ্য জানান, ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান হিসেবেই তিনি সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি বার্তা দেন, এমন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গেলে সংকীর্ণ রাজনীতির উপরে উঠতে হবে। এ দিনও সমবায় ব্যাঙ্কের কার্যপদ্ধতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “কর্মচারী-পরিচালকমণ্ডলীর মধ্যে রাজা-প্রজা সুলভ আচরণ থাকবে না, একটা পরিবারের সদস্য হিসেবেই আমরা কাজ করব। তেমনই জিন্দাবাদ বা বন্দেমাতরম বলে দাবি আদায় করার দরকার হবে না। ন্যায্য দাবি গুরুত্ব দিয়েই আমরা দেখি।” অবাম ব্যাঙ্ক কর্মচারী ইউনিয়ন রাজ্যস্তরে থাকা উচিত বলে এ দিন জানান শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “আমরা চাই, যাঁরা বন্দেমাতরম মন্ত্রে বিশ্বাস করেন, তাঁরা এক ছাতার তলায় আসুন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy