Advertisement
০২ মে ২০২৪

দক্ষিণের কড়চা

সব রথ চলে না। সব রথের রশি নেই, সারথিও নেই। এ দেশের কথা-কাহিনি-মহাকাব্যে যে রথ অমর হয়ে রয়েছে, তা কুরুক্ষেত্রে যুযুধান কৌরব ও পাণ্ডব বাহিনীর মাঝখানে থমকে দাঁড়ানো একটি দ্বিচক্রযান। রশি ধরে সারথি কৃষ্ণ, পিছনে হতমান অর্জুন।

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৪ ০০:০০
Share: Save:

চলাচল

ভক্তের পথে

সব রথ চলে না। সব রথের রশি নেই, সারথিও নেই।

এ দেশের কথা-কাহিনি-মহাকাব্যে যে রথ অমর হয়ে রয়েছে, তা কুরুক্ষেত্রে যুযুধান কৌরব ও পাণ্ডব বাহিনীর মাঝখানে থমকে দাঁড়ানো একটি দ্বিচক্রযান। রশি ধরে সারথি কৃষ্ণ, পিছনে হতমান অর্জুন।

কিন্তু এ দেশের রথযাত্রায় জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রাই পাকা আসন করে নিয়েছেন। তার কোনও ঘোড়া নেই, সারথিও নেই, দেবতার রশি আবেগে আকুল ভক্তদের হাতেই। মায়াপুরের ইস্কন থেকে শুরু করে শ্রীরামপুরের মাহেশ, সর্বত্র সেই রথেরই অবাধ গতি।

কিন্তু সব রথের গতি চোখে দেখা যায় না। স্থানু রথের আদলে তৈরি যে ভগ্ন মন্দির বিশ্বের শিল্পপ্রেমীদের প্রতি দিন নতজানু করে, সেই কোণার্কের অধিপতি দেবতা কিন্তু কৃষ্ণ নন, জগন্নাথ তো ননই। বরং সাত ঘোড়া ছুটিয়ে ওই রথে পূর্ব সমুদ্র থেকে উঠে আসবেন সূর্য (সেই সময়ে সমুদ্র পাশেই ছিল), এমনই কল্পনা করেছিলেন শিল্পী। এক সময়ে মল্ল রাজাদের রাজধানী বিষ্ণুপুরেও গড়দরজা এলাকায় সপ্তদশ শতকে স্থাপিত হয়েছিল পাথরের রথ। তাতে এখন কোনও বিগ্রহই নেই। তবে রাজপরিবারের কাঠের রথ আজও চলে।

রথ কি শুধু চলেই? গল্প বলে না? বঙ্কিমের রাধারানী পথ হারিয়েছিল মাহেশের রথের মেলায়। আবার লালগড়ের রাজা রসিক নারায়ণ সাহসরায় যে স্বপ্নাদেশ পেয়ে বালি-দুমদুমির জঙ্গলে মাটি খুঁড়িয়ে অষ্টধাতুর শ্রীমতী বিগ্রহ পেয়েছিলেন, সেই কাহিনিও তো তিনশো বছর ধরে চলে আসছে। রাজাকে এক সন্ন্যাসীর দেওয়া কষ্টিপাথরের রাধামোহন আর শ্রীমতী বছরে মাত্র এক বার, এই রথের দিনেই স্বর্ণালঙ্কারে সেজে রথে চাপেন। সঙ্গে নিমকাঠে গড়া জগন্নাথ।

মণিপুর রাজবাড়ির রথের চাকাও নবদ্বীপের পথে গড়াচ্ছে দুই শতাব্দী ধরে। তাঁদেরও নবদ্বীপে টেনে এনেছিল রাজা ভাগ্যচন্দ্র সিংহের কন্যা বিম্ববতী মঞ্জরীর মহাপ্রভু দর্শনের স্বপাদেশ। ১৮০৫ থেকে সেই রথ চলছে। অথচ থেমে গিয়েছে রাজা লক্ষণ সেনের প্রধানমন্ত্রী হলায়ুধের অধস্তন পঞ্চমপুরুষ জগন্নাথ গোস্বামী প্রতিষ্ঠিত বাসুদেবের রথ। কথিত যে, প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছর আগে ঢাকার বিক্রমপুরে চার ফুট উচ্চতার কষ্টি পাথরের বাসুদেব মূর্তির সন্ধান পান চৈতন্যপার্ষদ জগন্নাথ গোস্বামী। বাসুদেবেরই প্রতিনিধি হিসেবে রথে চড়তেন জগন্নাথ। সময়ের ফেরে হয়তো দেবতারও কপাল পোড়ে। এখন নবদ্বীপের বউবাজারে বাসুদেব অঙ্গনে একাই নিথর দাঁড়িয়ে থাকেন রথহীন দেবতা।

রথ আছে, সারথিও আছে এমন জগন্নাথেরও আবার দেখা মিলবে এই বাংলাতেই। হুগলির গুপ্তিপাড়ায় কয়েকশো বছরের পুরনো রথের সামনে থাকা দু’টি কাঠের ঘোড়া। তার দুই সারথি, হাতে খেজুরপাতার চাবুক।

সারথির কাজটি জোটে বংশ পরম্পরায়। এখন উদয় কুণ্ডু আর মন্টু দাস রশি আঁকড়েছেন। ট্রাফিকে বেসামাল রাস্তায় ভক্তই তো ভগবানের অগতির গতি!

(বিষ্ণুপুরের পাথরের রথে ছবিটি শুভ্র মিত্রের তোলা)

আশ্রম ভাবনা

রবীন্দ্রনাথের আশ্রম বিদ্যালয়ের ধারণা আজকের আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার সঙ্গে কতটা প্রাসঙ্গিক? আশ্রমের শিক্ষা তথা আশ্রম-বিদ্যালয় সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিভঙ্গিকে কী করে আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার সঙ্গে মেলানো যাবে? প্রশ্নগুলি ভাবিয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তকে। ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মেলবন্ধন নিয়ে তাঁর সেই ভাবনা তিনি সম্প্রতি ভাগ করে নিলেন বিশ্বভারতীর কর্মী-সমাজের সঙ্গে। লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে উপস্থাপন-সহ এক বক্তৃতায় তিনি বললেন, কী ভাবে শান্তিনিকেতনের পাঠভবন ও শ্রীনিকেতনের শিক্ষাসত্রের মধ্যে সংযোগসাধন করা যায়, কলাভবন ও শিল্পসদনকে একটিই একক হিসেবে ধরে তৈরি করা যায় আন্তর্জাতিক মানের এক শিল্প-বিদ্যালয়। এ বার রবীন্দ্রভবনে একটি বক্তৃতায় উপাচার্য বলবেন, ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাঁর অধ্যাপনা ও প্রশাসনার সঙ্গে বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে অভিজ্ঞতার পার্থক্য। উদয়নে ২৯ জুন বিকেল ৫টায় রবীন্দ্রভবন রবীন্দ্রপ্রবাহ বক্তৃতামালায় ‘বিশ্বভারতী: আমার চোখে অভিজ্ঞতা’ প্রসঙ্গে তাঁর বিশেষ বক্তৃতা। পার্থক্যটা কোথায়? বিশ্বভারতীর প্রত্যেকটি বিভাগ রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শনের ভিত্তিতে তৈরি। ব্যক্তিনাম জড়ানো বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীতে আছে, কিন্তু ব্যক্তির ভাবনার ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হলেও সযত্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ব্যক্তির নামটি পরিহার করা, এই সংযমও শিক্ষণীয়, বললেন সুশান্তবাবু।

মিষ্টির নকশা

দিল্লির আইএমএম থেকে এমবিএ। কিন্তু তাবত্‌ বিদ্যে শেষে কাজে লাগল মিষ্টি তৈরি আর বিপণনে। দিল্লি থেকে যখন ফিরেছিলেন, আসানসোলে পারিবারিক দোকান ‘অমৃত সুইটস’ লালবাতি জ্বালার মুখে। “আমার মনে হয়েছিল, দোকান বাঁচাতে গেলে চলতি মিষ্টি নিয়ে বাজারে নামা যাবে না।

তাই শুরু করলাম ফিউশন আর নন-ট্রাডিশনাল মিষ্টি বানাতে” বলছেন সৌম্যনারায়ণ গড়াই। যাঁর ডিজাইন করা নতুন ধরনের মিষ্টি ইতিমধ্যেই কলকাতা পর্যন্ত সাড়া ফেলে দিয়েছে। প্রথাগত মিষ্টির সঙ্গে নানা ফল, সব্জি, ক্যান্ডি, বিস্কুট, চকোলেট, কোলা এবং আরও নানা বিচিত্র জিনিস যোগ করে তিনি বানিয়ে ফেলেছেন কেশর কলস, চকো ম্যাজিক, তাজা ম্যাঙ্গো ম্যাজিক, অন্য রকম মতিচুর। টেরাকোটার নানা ভঙ্গি কিংবা কলা বা বাঁশ পাতা স্নান করছে চকোলেটে। ‘ক্যাডবেরি মিষ্টি সেরা সৃষ্টি’র পপুলার চয়েস বিভাগে সেরার তকমাও পেয়ে গিয়েছেন সৌম্য, তাঁর কথায়, “মিষ্টি তৈরির কাজ শুরুর আগে একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করার সুবাদে কর্পোরেট দুনিয়ার সামান্য অভিজ্ঞতা আমার পুঁজি ছিল।” সেই পুঁজি আর উদ্ভাবনী শক্তিতেই আপাতত আরও ছড়িয়ে পড়ার নকশা বুনছেন তরুণ ‘সুইট ডিজাইনার’।

নবাবির শহর

বাংলা-বিহার-ওড়িশা অর্থাত্‌ একদা সুবে বাংলার রাজধানী ছিল শহর মুর্শিদাবাদ, লালবাগ। বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করেই ভারতে ব্রিটিশ শাসনের পত্তন। ঐতিহাসিক সেই শহরের উত্থান-পতন, নবাবের সিংহাসন, নবাবি স্থাপত্য, নহবতখানা, টাকশাল, ঝিল, হাজারদুয়ারি প্যালেস মিউজিয়াম-সহ যাবতীয় ইতিহাস নথিবদ্ধ করেছেন মুর্শিদাবাদের ইতিহাসবিদ রামপ্রসাদ পাল, তাঁর ‘প্রসঙ্গ: শহর মুর্শিদাবাদ’ (আকাশ) গ্রন্থে। ১৬টি প্রবন্ধের সংকলন গ্রন্থটির প্রথম সংস্করণ আগেই নিঃশেষিত। পাঠকের চাহিদা মেটাতে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে পরিমার্জিত দ্বিতীয় সংস্করণ। শহরের প্রাকৃতিক বিপর্যয়, উত্‌সব, নবাবদের সমাধিক্ষেত্র ও নবাব-বেগমদের যাবতীয় ইতিহাস নথিবদ্ধ রয়েছে গবেষণামূলক ওই গ্রন্থে। প্রচ্ছদটি কৃষ্ণজিত্‌ সেনগুপ্তের করা।

বাঁকা চোখে

নিছক একটা সুতো, সেই সুতোই হয়তো বা তাঁর লেন্সে ধরা পড়ল কোনও অপরূপার শিল্পিত অবয়বে। খড়কুটো আর শুকনো পাতা আলো-আঁধারির সফল বুনোটে জন্ম দিল নিখাদ ভাস্কর্যের। ফেলে দেওয়া কাগজ, প্ল্যাস্টিক, জলরেখা সবই অন্য রকম চেহারা নেয় প্রদীপ দত্তের ক্যামেরার বাঁকা চোখে। চারপাশের জীবন থেকে ছবির বিষয় সংগ্রহ করেন প্রদীপ। যাঁর ছবি দেখে কবি শঙ্খ ঘোষ লিখেছিলেন, “কোনো-একটা রূপ হয়তো দেখতে পায় প্রদীপ, আর সেইগুলোকে সে ধরে রাখে তার ক্যামেরায়, উঠে আসে একটা আঁকা-ছবির আদল।” মধ্যমগ্রাম নিবাসী এই আলোকচিত্রীর ছবি নিয়ে সম্প্রতি নিউটাউনের রবীন্দ্রতীর্থে শুরু হয়েছে ‘এ ভয়েজ অব ফর্ম’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনী। শেষ হবে ২৯ জুন।

মনিদার জন্য

যে মানুষটি তাঁদের সঙ্গীতকে আন্তর্জাতিক শ্রোতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার দুরূহ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সেই আশির দশকে, সেই গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণে শহর কলকাতাকে গান শুনিয়ে গেলেন বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, নদিয়ার বাউল-ফকিরেরা। গৌর ক্ষ্যাপা, পবন দাস, নিমাই গোস্বামীর মতো শিল্পীদের শহরে এনে নিজের পরিচালনায় ‘নাগমতি’, ‘সময়’, ‘লেটার টু মম’ ছবিতে গান গাওয়ানো বা বিদেশে তাঁদের অনুষ্ঠান করতে পাঠানোর মতো যে সব মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন বাংলা ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র প্রতিষ্ঠাতা গৌতম ওরফে মনিদা, তা উঠে এল নানা জনের কথালাপে। গান শোনালেন দেবদাস বাউল, কানাই দাস, তিনকড়ি চক্রবর্তী, কার্ত্তিক দাস, মনসুর ফকির। মহীনের ঘোড়াগুলির এব্রাহাম মজুমদার ছাড়াও ছিলেন রঞ্জন প্রসাদ, গৌতমপুত্র গৌরব (গাবু), শুভেন্দু মাইতিরা। এ বারের পঞ্চম ‘সহজিয়া উত্‌সব’-এর কথামুখই ছিল ‘মনি ছাড়া শূন্য লাগে...’।

কবিরাজ

কেউ কেউ থাকেন, নিজের সমকালে যিনি বিরাট কোনও প্রতিভার ছায়ায় ঢাকা পড়ে যান। পরে কখনও কেউ পুনরাবিষ্কার করে তাঁর কাজ। রবীন্দ্রনাথের সমসময়ে এমন কবি-লেখকের সংখ্যা কম নয়। তাঁদেরই এক জন, হাওড়ার জগত্‌বল্লভপুরের রামেশ্বরপুর গ্রামে নীরবে চর্চা চালিয়ে যাওয়া সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত তথা কবিরাজ তারাপদ চক্রবর্তী। জন্ম রবীন্দ্রনাথের পাঁচ বছর পরে, ১৮৬৭ সালে। চিকিত্‌সার পাশাপাশি অনর্গল লিখে গিয়েছেন কবিতা, গান ও গদ্য। স্বাধীনতার দু’বছর পরে, ১৯৪৯-এ মারা যান কবি। সযত্নে রাখা ছিল প্রায় সাতশো পৃষ্ঠার মূল পাণ্ডুলিপি। কবির নাতি প্রদীপ চক্রবর্তীর উদ্যোগে তা সযত্নে ছাপিয়ে-বাঁধিয়েই প্রকাশিত হল কাব্যগ্রন্থ ‘বাসনা’।

কালসন্ধান

গ্রামের একচিলতে মাটির বাড়ির বারান্দায় বসে থাকা এক বৃদ্ধার কাছে কাকুতিমিনতি করছেন এক প্রৌঢ়। উঠোনে পড়ে থাকা ওই ঠাকুরটি তাঁর চাই। কিন্তু বৃদ্ধার ছেলেরা নাছোড়, ঠাকুর দেওয়া চলবে না। শেষমেশ ভরা গরমে শুকনো মুখেই পুরুলিয়ার বরাবাজারের সেই গ্রাম বানজারা থেকে বেরিয়ে আসতে হল প্রৌঢ় দিলীপকুমার গোস্বামীকে। হরিপদ সাহিত্য মন্দিরের ছোট্ট পুরাকীর্তি সংগ্রহালয়টিকে আরও একটু সমৃদ্ধ করতে যে পারলেন না, সেই হতাশা তাঁর চোখে-মুখে। প্রায় আঠারো বছর ধরে জয়পুর হাইস্কুলের চাকরির ফাঁকে-ফাঁকে দিলীপবাবু খুঁজে বেড়িয়েছেন, সংগ্রহ করেছেন গ্রামে গ্রামে পড়ে থাকা জৈন-হিন্দু শিলামূর্তি। তৈরি করেছেন তাদের ঠিকুজি-কুলুজি। আরও কয়েক জনকে নিয়ে তিলে-তিলে গড়ে তুলেছেন হরিপদ সাহিত্য মন্দির। মহাকাল, আদিনাথের বহু প্রাচীন মূর্তির পাশাপাশি পুরুলিয়ার অতি প্রাচীন পত্রিকা ‘মুক্তি’-র পুরো সেট সংগ্রহ করেছেন। লিখেছেন মানভূমের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস। অধুনা বহু স্নাতকোত্তর গবেষণার গোপন উত্‌স তাঁর ওই কাজ। কিন্তু দিলীপবাবুর নামটি অনুল্লেখিতই থেকে যায়। তাতে কোনও ক্ষোভ? দিলীপবাবু হাসেন ‘না, না, তাতে কিছু মনে করি না। কাজটা তো হচ্ছে!’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

dakshiner karcha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE