Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

নবান্ন এলাকায় নিকাশি সংস্কার

সামনেই বর্ষা। কিন্তু জমা জলে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় নবান্নের কৌলিন্য নষ্ট করা যাবে না। তাই নবান্নের চারপাশের রাস্তার খোলা নর্দমায় ঢাকনা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। হাওড়া পুরসভার চারটি ওয়ার্ডকে ঘিরে রয়েছে নবান্ন।

নবান্ন এলাকায় শুরু হল রাস্তা, আলো, নিকাশির সংস্কার।

নবান্ন এলাকায় শুরু হল রাস্তা, আলো, নিকাশির সংস্কার।

সঞ্জয় চক্রবর্তী ও সোমনাথ চক্রবর্তী
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৪ ০৪:১২
Share: Save:

সামনেই বর্ষা। কিন্তু জমা জলে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় নবান্নের কৌলিন্য নষ্ট করা যাবে না। তাই নবান্নের চারপাশের রাস্তার খোলা নর্দমায় ঢাকনা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। হাওড়া পুরসভার চারটি ওয়ার্ডকে ঘিরে রয়েছে নবান্ন। এগুলি হল ৩৩, ৩৭, ৩৮ এবং ৪০ নম্বর ওয়ার্ড। আগে ওই এলাকার কোনও গলিতেই বৃষ্টির জল নামত না। ছিল না কোনও ফুটপাথও। নবান্ন হওয়ার পরে পূর্ত দফতর এর চারপাশের এলাকায় সিমেন্টের টালি পেতে মসৃণ করে। লাগানো হয় আলো, বাগান তৈরি হয়। এইচআরবিসি নবান্নের চারপাশে প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকায় নর্দমা তৈরি, নর্দমার ঢাকনা দেওয়া এবং ফুটপাথ তৈরির কাজ শুরু করে। হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে ওই এলাকার অলিগলিতে আলো লাগানোর কাজ শুরু হয়। তিন দফতরের এই মিলিত উদ্যোগে খুশি এলাকার বাসিন্দারাও।

এইচআরবিসি-র ভাইস চেয়ারম্যান সাধন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নবান্নকে কেন্দ্র করে প্রায় চার কিলোমিটার এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা নতুন করে গড়া হচ্ছে। বেশ কিছু নতুন নর্দমা বা নিকাশি নালা তৈরি হচ্ছে। কোথাও পুরনো নিকাশি নালার সংস্কার হচ্ছে। আবার কোথাও খোলা নর্দমায় ঢালাই স্ল্যাব বসানো হচ্ছে। কোথাও পাইপ বসিয়ে নর্দমা তৈরি হচ্ছে। খরচ ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকা।” পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, ওই কাজের লক্ষ্য মূলত দু’টি। প্রথমত বর্ষার জমা জলের দ্রুত নিষ্কাশন, দ্বিতীয়ত, মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ।

এ ব্যাপারে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নবান্নের আশপাশে ছোট-বড় মিলে ১৪টি রাস্তা সংস্কারের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। রাস্তায় আলো লাগানো এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নবান্নের পাশেই তারাপদ চ্যাটার্জি লেন, ওঙ্কারমল জেটিয়া রোড, সীতানাথ ব্যানার্জি লেন-সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় আলো লাগানো হচ্ছে। পুরসভা থেকে এর জন্য খরচ হবে ১ কোটি টাকা।” তারাপদ চ্যাটার্জি লেনের বাসিন্দা স্নেহাশিস বৈতাল এলাকায় পানীয় জলের ব্যবসা করেন। তিনি বলেন, “আগে এই এলাকাটি ছিল মশার আঁতুড়ঘর। চারপাশ জঙ্গলে ভর্তি। পরিকল্পিত নিকাশি ব্যবস্থাই ছিলনা। রাস্তায় ছিল না কোনও আলো। এর সঙ্গে গোটা এলাকা জুড়ে ছিল পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট। এমনকী, বর্ষায় জমা জল নামার কোনও ব্যবস্থাও ছিল না। নতুন সচিবালয় ঘিরে পুরো এলাকাটির আমূল পরিবর্তন হতে চলেছে। স্বভাবতই আমরা খুশি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

nabanna sanjay chakrabarty somnath chakrabarty
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE