বসিরহাটের গয়রাগ্রামে টাকি রাস্তায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
পৃথক পথ দুর্ঘটনায় শনিবার দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় মৃত্যু হল পাঁচ জনের, জখম হন বেশ কয়েক জন।
ভোরে একটি দুর্ঘটনা ঘটে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে নন্দকুমার থানার শ্রীধরপুরের কাছে। খেজুরির হিজলি শরিফে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকদ্দ্বীপের কামারহাট এলাকার ২৩ জনের একটি দল গাড়ি ভাড়া করে রওনা হয়। শনিবার ভোরে শ্রীধরপুরের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি ধাক্কা মারে একটি পার্কের রেলিংয়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান জলিল মোল্লা (১৮) নামে এক যাত্রী। জখম দুই শিশু-সহ ১৯ জনকে প্রথমে নন্দকুমার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তমলুক হাসপাতালে স্থানান্তরের সময়ে সমীর শীল (৪২) নামে আরও এক যাত্রী মারা যান বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সকালে দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড় পেরনোর সময়ে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় মোটরবাইক আরোহী শাশুড়ি ও জামাইয়ের। মৃতদের নাম জ্যোতির্ময়ী মণ্ডল (৭০) এবং ফাল্গুনী রায় (৪৪)। তাঁরা দুর্গাপুর পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ফাল্গুনীবাবু একটি রাসায়নিক কারখানায় কাজ করতেন। কারখানারই কর্মী আবাসনে থাকতেন। মোটরবাইকে শাশুড়িকে নিয়ে তিনি সিটি সেন্টারের দিকে আসছিলেন। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ দেরিতে আসে, এই অভিযোগে দেহ আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সন্ধ্যায় ওই ওয়ার্ডেরই রেখা ঘোষ (৪৪) ছেলের মোটরবাইকে করে যাওয়ার সময়ে গাঁধীমোড়ের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। একটি বাস বাইকটিকে ধাক্কা মারে। গুরুতর আহত অবস্থায় রেখাদেবী ও তাঁর ছেলেকে দুর্গাপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় রেখাদেবীর। তার আগে দুপুরে কেতুগ্রামের নতুনগ্রাম এলাকায় রাস্তা পেরনোর সময়ে গাড়ির নীচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয় বছর দশেকের এক ছাত্র। প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা অবরোধ করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে। পরে বিক্ষোভকারীদের পুলিশের সঙ্গে আলোচনার পরে অবরোধ ওঠে।
এ দিন সকালে পাঁচ বন্দিকে নিয়ে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার চত্বর থেকে পুলিশের একটি গাড়ি ঝাড়গ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। কোতয়ালি থানার এনায়েতপুরের কাছে পুলিশের গাড়ির সঙ্গে একটি ছোট গাড়ির সংঘর্ষ হয়। জখম হন ছোট গাড়িটির তিন আরোহী। তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে ইট ছোড়ে। তবে, পুলিশের অন্য একটি গাড়ি দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসায় অনভিপ্রেত কোনও ঘটনা ঘটেনি। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের গয়ড়া গ্রামেও পুলিশের গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে জখম হন দুই মোটরবাইক আরোহী। বাইকটি ছিটকে নয়ানজুলিতে পড়ে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় জনতা।
পুরুলিয়ার কেন্দা বাজারে পাথরভর্তি ট্রাক্টরের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয় বালকডি হাইস্কুলের স্বপন গঁরাই ও রঞ্জিত গঁরাই নামে অষ্টম শ্রেণির দুই ছাত্র। স্থানীয় বাসিন্দারা দু’জনকে চাকলতোড় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। ট্রাক্টরটি আটক করলেও চালক পলাতক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy