Advertisement
০৮ মে ২০২৪

পরীক্ষার্থী-সংখ্যা আসলে কমেনি, ব্যাখ্যা শিক্ষামন্ত্রীর

এর আগে প্রায় প্রতি বছরই সংখ্যাটা বাড়ছিল। এ বার হঠাৎ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেল কেন, বিধানসভায় প্রশ্ন তুললেন বিরোধীরা। গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৫ হাজার কমে এ বার মাধ্যমিক দিচ্ছে ১০ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯৩০ জন ছাত্রছাত্রী। সোমবার, ওই পরীক্ষা শুরুর দিনেই সংখ্যা হ্রাস নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমানের অতিরিক্ত প্রশ্নের জবাবে পার্থবাবু এ দিন বিধানসভায় জানান, রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা আসলে কমেনি।

শেষ মুহূর্তেও নজর বইয়ে। সোমবার।  নিজস্ব চিত্র

শেষ মুহূর্তেও নজর বইয়ে। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:২২
Share: Save:

এর আগে প্রায় প্রতি বছরই সংখ্যাটা বাড়ছিল। এ বার হঠাৎ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেল কেন, বিধানসভায় প্রশ্ন তুললেন বিরোধীরা। গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৫ হাজার কমে এ বার মাধ্যমিক দিচ্ছে ১০ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯৩০ জন ছাত্রছাত্রী। সোমবার, ওই পরীক্ষা শুরুর দিনেই সংখ্যা হ্রাস নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।

সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমানের অতিরিক্ত প্রশ্নের জবাবে পার্থবাবু এ দিন বিধানসভায় জানান, রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা আসলে কমেনি। তাঁর ব্যাখ্যা, প্রতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যার হিসেবটা হয় কম্পার্টমেন্টাল পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের ধরে। কিন্তু গত বারের তুলনায় এ বছর কম্পার্টমেন্টাল পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। তাই মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে আগের তুলনায়। শিক্ষামন্ত্রী একই সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান এবং তারা যাতে সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা দিতে পারে, তার জন্য বিধায়কদের উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেন।

বিধানসভায় পার্থবাবু যা-ই বলুন, কম্পার্টমেন্টালের পাশাপাশি এ বারের মাধ্যমিকে ‘রেগুলার’ বা নিয়মিত ছাত্রের সংখ্যা গত বছরের থেকে হাজার দশেক কম। ছাত্রীর সংখ্যা অবশ্য বেড়েছে। কিন্তু ছাত্রের সংখ্যা কমে গেল কেন? মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রশাসক কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, “গত বছর সামগ্রিক ভাবে ফেল করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গিয়েছিল। ওই সব পড়ুয়া তো ‘নিয়মিত’ হিসেবেই পরীক্ষা দেয়। তাই নিয়মিত ছাত্রের সংখ্যা কমেছে।”

পর্ষদ-প্রশাসকের এই ব্যাখ্যায় বিস্তর গলদ আছে বলে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের কোনও কোনও আধিকারিকের অভিমত। তাঁদের ব্যাখ্যা, ফেল করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। আবার নতুন পরীক্ষার্থী বাড়ছে না। এর ফলেই সামগ্রিক ভাবে নিয়মিত ছাত্র কমে গিয়েছে। রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে মুখ ফিরিয়ে দিল্লি বোর্ডে পড়াশোনার হিড়িক এর অন্যতম কারণ বলে অনেকের মত।

প্রশাসক অবশ্য এত ব্যাখ্যায় যেতে চাননি। তিনি জানান, সোমবার প্রথম ভাষার পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বিঘ্নেই শুরু হয়েছে এ বারের মাধ্যমিক। রাজ্যের সর্বত্র ঠিক সময়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রশ্নপত্র নিয়েও কোথাও কোনও গোলমাল হয়নি বলে জানান কল্যাণময়বাবু। একই সঙ্গে তিনি জানান, কোচবিহারে একটি পথ-দুর্ঘটনায় চার পরীক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে এবং দু’জন গুরুতর আহত হয়েছে। রাজ্যের আরও কিছু জায়গায় কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। আজ, মঙ্গলবার দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা। রাজ্যে অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই যেটা আসলে ইংরেজি।

মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে টালিগঞ্জ-গড়িয়া ও টালিগঞ্জ-দেশপ্রিয় পার্ক রুটে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিনা ভাড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াতের বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানান দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূল অটোচালক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সভাপতি বিতান হালদার। তিনি জানান, পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড দেখেই এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE