Advertisement
E-Paper

বাংলাদেশি মহিলা পাচারে ঝাড়খণ্ডের বাবা-ছেলে ধৃত

ভোটার কার্ডে বারাসতের ঠিকানা, আধার কার্ডে মহারাষ্ট্রের। পাসপোর্ট আবার বাংলাদেশের। রবিবার রাতে বর্ধমান স্টেশনে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করায় তিন জন মহিলা ও দু’জন পুরুষকে আটকেছিল পুলিশ। এক মহিলার কাছে এই সব নথিপত্র মেলে। পুলিশ পাঁচ জনকেই গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ধৃতেরা নারী পাচার চক্রে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে জাল নথিপত্র রাখা, নানা পরিচয়ে বসবাস ও অনুপ্রবেশের মামলা রুজু হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৫৫
বর্ধমান থানায় ধৃতেরা। ছবি: উদিত সিংহ

বর্ধমান থানায় ধৃতেরা। ছবি: উদিত সিংহ

ভোটার কার্ডে বারাসতের ঠিকানা, আধার কার্ডে মহারাষ্ট্রের। পাসপোর্ট আবার বাংলাদেশের।

রবিবার রাতে বর্ধমান স্টেশনে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করায় তিন জন মহিলা ও দু’জন পুরুষকে আটকেছিল পুলিশ। এক মহিলার কাছে এই সব নথিপত্র মেলে। পুলিশ পাঁচ জনকেই গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ধৃতেরা নারী পাচার চক্রে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে জাল নথিপত্র রাখা, নানা পরিচয়ে বসবাস ও অনুপ্রবেশের মামলা রুজু হয়েছে। সোমবার দুপুরে বর্ধমান থানায় গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন এনআইএ-র দুই অফিসারও। তবে খাগড়াগড় কাণ্ডের সঙ্গে তাদের কোনও যোগসূত্র মিলেছে কি না, সে ব্যাপারে তাঁরা কিছু জানাতে চাননি।

বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, মাস তিনেক আগে ঝাড়খণ্ডের গিরিডির কোরিয়াডিহি গ্রাম থেকে এসে বর্ধমান শহরের সিংহদরজায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল বংশীধর সাউ ও তার ছেলে সারদা সাউ। সম্প্রতি তসলিমা বেগম নামে এক মহিলা সেই বাড়িতে আসে। রবিবার গভীর রাতে পুলিশ একটি সূত্রে খবর পায়, সিংহদরজা এলাকা থেকে পাঁচ জন স্টেশনের দিকে রওনা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিন জন মহিলা। এর পরেই পুলিশ স্টেশনে গিয়ে তাদের ধরে।

পুলিশ জানায়, তসলিমার কাছ থেকেই ওই সব পরিচয়পত্র ও ভিসা মেলে। ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড ও আধার কার্ডে তার নাম রয়েছে পিঙ্কি গাজি। পাসপোর্টে নাম তসলিমা। বাড়ি বাংলাদেশে যশোহরের মণিরামপুরে। অন্য দুই মহিলার নাম সাহানা বিবি ও উর্মি বিবি। তাদেরও বাড়ি ওই গ্রামেই। তবে তাদের কোনও পরিচয়পত্র মেলেনি। ধৃতদের কাছে মুম্বইয়ের ট্রেনের টিকিটও পাওয়া গিয়েছে। তসলিমা ২৬ নভেম্বর এ রাজ্যে আসে। তবে বাকি দুই মহিলা কবে এসেছিল, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ সুপারের দাবি, “সম্ভবত ওই মহিলাদের দেহ ব্যবসায় নামানোর উদ্দেশ্য ছিল ধৃত পিতা-পুত্রের। তারাই মহিলাদের ভাড়াবাড়িতে আনেন। তবে সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” সোমবার বর্ধমান আদালত ধৃতদের ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। এনআইএ ধৃতদের কী ব্যাপারে জেরা করেছে, পুলিশও তা জানাতে চায়নি।

burdwan bangsidhar shaw saradha shaw taslima begum
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy