Advertisement
E-Paper

বন্দর বাঁচাতে গঙ্গাজল নিয়ে নয়া চুক্তির দাবি

ফরাক্কা জল-চুক্তি নতুন করে পর্যালোচনার দাবি জানাল রাজ্য। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ ও নদী বিষয়ক মন্ত্রী উমা ভারতীর কাছে রাজ্যের ওই আর্জি তুলে ধরেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি ফিরে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন উমা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:১৪
ফরাক্কায় কেন্দ্রীয় জলসম্পদ ও নদী উন্নয়ন মন্ত্রী উমা ভারতীর সঙ্গে রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়

ফরাক্কায় কেন্দ্রীয় জলসম্পদ ও নদী উন্নয়ন মন্ত্রী উমা ভারতীর সঙ্গে রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়

ফরাক্কা জল-চুক্তি নতুন করে পর্যালোচনার দাবি জানাল রাজ্য।

মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ ও নদী বিষয়ক মন্ত্রী উমা ভারতীর কাছে রাজ্যের ওই আর্জি তুলে ধরেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি ফিরে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন উমা।

দীর্ঘ পর্যালোচনার পরে ১৯৯৬ সালে দিল্লি-ঢাকা’র মধ্যে ফারাক্কা জলচুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। রাজীবের দাবি, ওই চুক্তি অনুসারে গত উনিশ বছর ধরে বাংলাদেশ বেশি জল পেয়ে আসছে। ফলে নাব্যতা কমছে গঙ্গার। তিনি বলেন, “গঙ্গায় পলি পড়ে যাওয়ার এটাও একটা বড় কারণ। ফলে কলকাতা বন্দরে জাহাজের আনাগোনা কমে এসেছে।”

তাঁর দাবি, কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের সমীক্ষা অনুসারে প্রতি দিন অন্তত ৪০ হাজার কিউসেক জল না পেলে কলকাতা বন্দরের হাল ফেরানো অসম্ভব। রাজীব বলেন, “সে জন্যই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে দরবার করেছি, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের নতুন করে ফরাক্কা জল-চুক্তি করা হোক। উমাদেবী বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।”

কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর কথাতেও এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে। সেচমন্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, “রাজীব অত্যন্ত সক্রিয় সেচমন্ত্রী। তিনি খুব ভাল কাজ করছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিটি বৈঠকে যোগ দেন। রাজ্যের সমস্যার কথা খুব জোরালো ভাবে তুলে ধরেন।” তিনি মনে করেন, কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে ‘সেতু-বন্ধনের’ কাজ করছেন সেচমন্ত্রী।

গঙ্গা ভাঙন নিয়ে রাজ্যের সেচমন্ত্রী যে তাঁর কাছে বার কয়েক আবেদন করেছেন বৈঠক শেষে এ দিন তাও মেনে নিয়েছেন উমা। তিনি বলেন, “ওই সমস্যা খতিয়ে দেখতেই আমার ফরাক্কায় আসা। এ ব্যাপারে রাজ্যের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশ্বাস, ফরাক্কা ব্যারাজের সমস্ত লক গেট নতুন করে বদলে ফেলার কাজ ২০১৭ সালের মধ্যেই সর্ম্পূণ হবে।

farakka water treaty rajib bandopadhyay uma bharati ganga farakka
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy