Advertisement
০৫ মে ২০২৪
জোড়া অস্বস্তির সমাবর্তন

শিক্ষায় দলবাজিকে বিঁধলেন গোপাল

সাড়ে তিন দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতির কবল থেকে মুক্ত করবেন। সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই শিক্ষা জগতের অভিজ্ঞতা বলছে, শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ বন্ধ তো হয়ইনি, উল্টে তার বহর আগের জমানাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে এসে রবিবার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধী কিন্তু রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে সামনে রেখেই বলে গেলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি বা সরকারের হস্তক্ষেপ কখনওইউচিত নয়।”

প্রেসিডেন্সির সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধী এবং উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

প্রেসিডেন্সির সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধী এবং উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

সাবেরী প্রামাণিক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৫৯
Share: Save:

সাড়ে তিন দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতির কবল থেকে মুক্ত করবেন। সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই শিক্ষা জগতের অভিজ্ঞতা বলছে, শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ বন্ধ তো হয়ইনি, উল্টে তার বহর আগের জমানাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে এসে রবিবার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধী কিন্তু রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে সামনে রেখেই বলে গেলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি বা সরকারের হস্তক্ষেপ কখনওইউচিত নয়।”

গোপালকৃষ্ণ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল থাকাকালীন তদানীন্তন বাম সরকারের নানা কার্যকলাপের বিরুদ্ধে নিজের মতো করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কারণে গোপালকৃষ্ণকে আলাদা করে সমীহ করে থাকেন। কিন্তু গাঁধীর দৌহিত্র এ দিন যা বলে গেলেন, তাতে অনেকেরই মনে হয়েছে, নাম না-করে বর্তমান শাসক দলকেই বিঁধেছেন তিনি। বাম জমানার মতোই তিনি এ দিনও নিজের মতো করেই মুখ খুলেছেন।

বস্তুত, প্রবীণ শিক্ষকদের বড় অংশের অভিমত, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচনের পদ্ধতি কিংবা পরিচালন সমিতি গঠন থেকে শুরু করে কলেজে ছাত্রভর্তি সর্ব ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকার যে ভাবে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে সচেষ্ট, তাতে এমন একটা বার্তা জরুরি ছিল। সামনেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। সরকার-ঘনিষ্ঠ উপাচার্যের বিরুদ্ধে সেখানে সমাবর্তন বয়কটের ডাক দিয়েছেন পড়ুয়ারা। তার আগে প্রেসিডেন্সির সমাবর্তন মঞ্চ থেকে গোপালকৃষ্ণ কিন্তু স্পষ্ট বললেন, “সরকারি হস্তক্ষেপ, বা আর্থিক অনুদানকারী সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রভাব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা পালনের পথে অন্তরায়।” তিনি যখন এ কথা বলছেন, তখন তাঁর সামনেই ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থবাবু শিক্ষা দফতরের ভার নেওয়ার পরে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে নিজের প্রভাব বাড়াতে পদক্ষেপ আরও বাড়িয়েছে বলেই অভিযোগ। প্রাক্তন রাজ্যপালের মন্তব্য প্রসঙ্গে সেই পার্থবাবু পরে বলেছেন, “উনি (গোপালকৃষ্ণ) তো একদম ঠিক কথা বলেছেন। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কেন হবে? আমি শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে, প্রশাসনিক ভাবে কিছু বলতেই পারি। কিন্তু দলের মহাসচিব হিসেবে তা পারি না। করিও না।”

বাস্তব অবশ্য অন্য কথাই বলছে। শিক্ষাজগতে যুক্ত অনেকেই মনে করছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতিকরণের ‘সাফল্যের’ নিরিখে পার্থবাবুদের সরকার বাম জমানার ‘অনিলায়ন’কেও পিছনে ফেলেছে। প্রবীণ রাজনীতিকরা বলছেন, শিক্ষাক্ষেত্রকে কব্জায় রাখলে সমাজের বড় অংশে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করা যে সহজ হবে, প্রয়াত সিপিএম রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাস তা বিলক্ষণ বুঝেছিলেন। তাই বাম আমলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ থেকে আরম্ভ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী বিবিধ কমিটিতে দলীয় অনুগামীদের ঢোকানো শুরু হয়। প্রক্রিয়াটি এমনই সর্বব্যাপী হয়ে উঠেছিল যে, রাজ্যের শিক্ষা-ইতিহাসে সেই পর্বই ‘অনিলায়ন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। পরিবর্তনের ডাক দেওয়ার সময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই প্রবণতাকে নির্মূল করার কথা বলেছিলেন। ক্ষমতায় এসে এই পথে কিছুটা এগিয়েওছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্সির উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, ইতিহাসবিদ সুগত বসুর নেতৃত্বে মেন্টর গ্রুপ গড়া হয়। দেশ-বিদেশ থেকে বাছাই করে শিক্ষক-শিক্ষিকা এনে নিয়োগ করা হয়। কলেজে কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক অশান্তিতে রাশ টানার লক্ষ্যে তৃণমূল জমানার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রস্তাব দেন, মনোনয়ন জমা হোক অনলাইনে। ছাত্রভর্তির গণ্ডগোল রুখতে কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইন ভর্তি পদ্ধতিও তিনি চালু করতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু তিন বছরের মাথায় পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ পার্থবাবুকে পদ ছেড়ে দিয়ে নাট্যকর্মী ব্রাত্যকেই সরে যেতে হয়েছে। দফতরের দায়িত্ব নিয়েই পার্থবাবু ঘোষণা করে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতি পুরোপুরি বাতিল করে কলেজভিত্তিক অনলাইন পদ্ধতিতে ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে ভর্তির ময়দানে প্রভাবশালী ছাত্র ইউনিয়নের দাদাগিরি কমেনি। শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের হাতে রাজ্য জুড়ে একের পর এক কলেজে অধ্যক্ষ নিগৃহীত হয়েছেন, রাজ্য সরকার কার্যত নীরব থেকেছে। শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিগত সিদ্ধান্তেও নিরপেক্ষতার পর্দা ক্রমশই খসে পড়ছে বলে অনেকের অভিমত। যেমন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন আইনে সংশোধনের ঘটনা। কী রকম?

২০১১-য় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন আইনে বদল এনে রাজ্য বলেছিল, সরকারি সার্চ কমিটি উপাচার্য পদে সম্ভাব্য তিন শিক্ষাবিদের নাম সুপারিশ করবে, যাঁদের মধ্যে এক জনকে বেছে নেবেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। সার্চ কমিটিতে প্রথমে রাখা হয় আচার্য-রাজ্যপাল, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থার মনোনীত সদস্যদের। ব্রাত্যবাবুর আমলে কমিটির গঠন বদলায়, ইউজিসি-র সদস্যের জায়গায় আসেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি। পার্থবাবুর আমলে ঠিক হয়, রাজ্যপাল তাঁর মনোনীত সদস্যের নাম স্থির করবেন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে। এখানেই শেষ নয়। সার্চ কমিটির সুপারিশ-তালিকা থেকে শিক্ষামন্ত্রীই যাতে একটা নাম বেছে নিতে পারেন, সেই মর্মে সরকার আইন পাল্টাতে চেয়েছিল। যদিও দলের অন্দরে বিতর্কের জেরে সংশোধনীটি শেষমেশ আনা হয়নি। কিন্তু পার্থবাবুদের অভিপ্রায়টি অস্পষ্ট থাকেনি। দলের প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীদের কেউ কেউ বরং ঘনিষ্ঠ মহলে বলেই দিয়েছেন, সরকার যখন আর্থিক অনুদান দিচ্ছে, তখন সরকারি নিয়ন্ত্রণ তো থাকবেই!

তবে শিক্ষামহলের বড় অংশের দাবি, এই প্রবণতা হঠাৎ জন্মায়নি। মুখে যা-ই বলা হোক, শিক্ষাক্ষেত্রকে রাজনীতির গ্রাসমুক্ত করার ইচ্ছে যে আদতে তৃণমূল সরকারের নেই, গোড়াতেই তার ইঙ্গিত ছিল। যেমন, রায়গঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ছোট্ট ঘটনা’ বলা শুরু করেছিলেন। ক্ষমতায় এসেই বিভিন্ন শিক্ষা সংস্থার মাথায় নিজেদের অনুগামী শিক্ষকদের বসানো আরম্ভ হয়েছিল। ২০১১-র বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়ানো মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হন। আগাগোড়া মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত, তৃণমূল শিক্ষা সেলের তদানীন্তন নেতা চিত্তরঞ্জন মণ্ডলকে করা হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান। বিভিন্ন কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি হন তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। এঁদের মধ্যে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বা মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়েরা যেমন আছেন, তেমন রয়েছেন সম্প্রতি বহিষ্কৃত নেতা আরাবুল ইসলামও, যিনি কিনা শিক্ষিকার দিকে জলের জগ ছুড়ে, উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে নকল করতে দেওয়ার দাবি তুলে শিরোনামে এসেছেন। আর তখনও দলের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

গোপালকৃষ্ণ যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতি বিদায়ের আহ্বান জানালেন, সেই প্রেসিডেন্সির উপরেও সরকারের নিয়ন্ত্রণ জোরদার বলে নানা মহলের আক্ষেপ। এমনও শোনা যায়, প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া নিজেই সরকারের মুখাপেক্ষী। অনুরাধাদেবী অবশ্য এ কথা বরাবর অস্বীকার করে আসছেন। শুধু প্রেসিডেন্সি নয়। যাদবপুরের মতো প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের জোরালো নালিশ রয়েছে। ছাত্র-শিক্ষকদের একাংশের ক্ষোভ, যাঁর নামে গবেষণাপত্র নকলের অভিযোগ, সেই অভিজিৎ চক্রবর্তীকেই ওখানকার স্থায়ী উপাচার্য করা হয়েছে। রাজভবন-সূত্রের ইঙ্গিত, সরকারেরই পরামর্শে তৃণমূল অনুগামী অভিজিৎবাবুকে ওই পদে বসিয়েছেন আচার্য-রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।

এই আবহে গোপালকৃষ্ণের এ দিনের বক্তব্যকে তাই আলাদা করে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে প্রাক্তন রাজ্যপাল এ-ও বলেছেন, ‘রাজনৈতিক নেতা, ধর্মগুরু বা বড় শিল্পপতি এগিয়ে চলার পথে এঁদের কারও আদর্শকেই পাথেয় করার প্রয়োজন নেই। নিজেদের স্বচ্ছ বিবেকের ডাকেই সাড়া দিতে হবে।’ ফলে সব মিলিয়ে শিক্ষাঙ্গনের আনাচে-কানাচে স্বার্থসিদ্ধির যে দলতন্ত্র বাসা বেঁধেছে, গোপালকৃষ্ণ এ দিন তাকেই নিশানা করলেন বলে মনে করছেন শিক্ষামহলের বড় অংশ। এমনকী, এ দিনও প্রেসিডেন্সির ফ্লেক্স-বিতর্কেও সেই দলতন্ত্রের প্রতিফলন দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ।

সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে প্রেসিডেন্সির মাঠে ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের তরফে। মন্ত্রী ভজনার এমন দৃষ্টান্তকে বেনজির হিসেবে অভিহিত করছেন প্রেসিডেন্সির প্রবীণ শিক্ষক ও প্রাক্তনীরা। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, স্বশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শাসকদলের ‘প্রতিপত্তি’ জাহির করতেই ওই ফ্লেক্স। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের দাবি, ওটির সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই। এতে তাঁরা আহত হয়েছেন এই মর্মে প্রেসিডেন্সির ডিন অব স্টুডেন্টস দেবশ্রুতি রায়চৌধুরীকে স্মারকলিপিও দেন তাঁরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে ফেসবুকে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্সি কোনও ধরনের রাজনৈতিক প্রচারের জন্য ফ্লেক্স বা ব্যানার টাঙানোকে সমর্থন করে না।’ ঘটনাটির নিন্দা করে পার্থবাবুও বলেন, “যে বা যারা ফ্লেক্সটি টাঙিয়েছে, তারা ঠিক করেনি। এমন কাজ আমার পছন্দ নয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE