ছবি রয়টার্স।
ইউরোপে সংক্রমণ ফের কমতে শুরু করেছে। ওমিক্রন-ঢেউয়ে ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো কিছু দেশে সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিলেও প্রাণহানির ঘটনা গোটা মহাদেশেই। এ অবস্থায় স্পেন জানিয়েছে, কোভিড-১৯ ক্রমশ ফ্লু হয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গেই বাঁচতে হবে।
ব্রিটেনের শিক্ষামন্ত্রী নাদিম জাহাউইও সম্প্রতি জানিয়েছেন, সে দেশে অতিমারি ক্রমশ ‘এনডেমিক’-এর চেহারা নিচ্ছে। অর্থাৎ আঞ্চলিক সাধারণ অসুখ। বাসিন্দারা সংক্রমিত হচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে হাতেগোনা সামান্য কিছু মানুষকে। মৃত্যুর ঘটনা নেই বললেই চলে। বিষয়টি মাথায় রেখে স্পেন সরকার করোনা-বিধির কড়াকড়ি ফের কমানোর কথা ভাবছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যাঞ্চেজ় জানিয়েছেন এ কথা।
ব্রিটেন, ফ্রান্স টিকাকরণে জোর দিলেও ইউরোপের অনেক দেশে এখনও কোভিডের টিকাকরণ বাধ্যতামূলক নয়। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ সম্প্রতি হুমকির সুরে বলেছিলেন, ‘‘টিকা না নিলে জীবন দুর্বিসহ করে দেওয়া হবে।’’ এ শুধু মুখের কথা নয়, কাল একটি নতুন আইন পাশ হয়েছে ফ্রান্সে। এতে টিকা নেননি এমন ব্যক্তি রেস্তরাঁ, স্টেডিয়াম-সহ আরও বেশ কিছু জায়গায় ঢুকতে পারবেন না। কিন্তু আইনপ্রণেতাদের অনেকেই বিরোধিতা করেন। শেষে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ভোট হয়। ২১৫-৫৮ ভোটে জিতে আইন বলবৎ হয়েছে রবিবার। টিকাকরণের শংসাপত্র না-থাকলে রেস্তরাঁ বা অন্যান্য বদ্ধ জায়গাগুলি থেকে ফিরে যেতে হবে টিকাহীন ব্যক্তিকে।
ব্রিটেনেও জোরকদমে তৃতীয় ডোজ় চলছে। কিন্তু বেলজিয়াম জানিয়েছে, কে টিকা নেবেন, কে নেবেন না, তা যাঁর যাঁর ব্যক্তিগত মতামত। বেশির ভাগ দেশেই সংক্রমিতের বিচ্ছিন্নবাসে থাকার দিনও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথাও চার, কোথাও পাঁচ দিন।
চিনের রাজধানী বেজিংয়ে এক জন ওমিক্রন সংক্রমিত ধরা পড়তেই অবশ্য হইহই কাণ্ড। তাঁর বাড়ি ও অফিসের চত্বর ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ওই অঞ্চলের সমস্ত বাসিন্দার করোনা-পরীক্ষা করানো হয়েছে। আজ সরকারি সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, সংক্রমিত ২৬ বছরের এক তরুণী। তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তরুণীর ‘শপিং ট্রিপ’।
সম্প্রতি বেজিংয়ের একাধিক নামীদামি দোকানে কেনাকাটা করেছিলেন তরুণী। অনুমান করা হচ্ছে, সেখান থেকেই তিনি সংক্রমিত হন। তবে কোথা থেকে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। তরুণী এখন কেমন আছেন, তা-ও জানানো হয়নি সরকারের তরফে। জানা গিয়েছে, তাঁর থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সংক্রমিত হতে পারেন, এমন মানুষের তালিকা ১৩ হাজারেরও বেশি। প্রত্যেককে নজরবন্দি করা হয়েছে। করোনা-পরীক্ষা হয়েছে সকলের। অবশ্য নতুন কারও করোনা-পজ়িটিভ ধরা পড়েনি বেজিংয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy