Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
International news

আমেরিকায় বন্দুকবাজের হামলা, গুলিতে মৃত্যু ভারতীয় ছাত্রের

মৃত ওই ছাত্রের নাম শরথ কপ্পু (২৬)। তিনি তেলঙ্গানার ওয়ারাঙ্গলের বাসিন্দা। ইউনিভার্সিটি অফ মিসৌরির ছাত্র ছিলেন।

শরথ কপ্পু। ছবি: ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে।

শরথ কপ্পু। ছবি: ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে।

সংবাদ সংস্থা
কানসাস শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৮ ০৮:৩১
Share: Save:

এক বন্দুকবাজের গুলিতে খুন হলেন ভারতীয় ছাত্র। আমেরিকার কানসাসের স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত ওই ছাত্রের নাম শরথ কপ্পু (২৬)। তিনি তেলঙ্গানার ওয়ারাঙ্গলের বাসিন্দা। ইউনিভার্সিটি অফ মিসৌরির ছাত্র ছিলেন।

প্রতিদিনের মতো কলেজের পর স্থানীয় এক রেস্তরাঁয় গিয়েছিলেন শরথ। হাত খরচার জন্য ওই রেস্তরাঁতে পার্ট-টাইম কাজ করতেন তিনি। রাতে আবার বাড়ি ফিরে আসতেন। কিন্তু ওই দিন আর বাড়ি ফেরেননি। ওই রেস্তরাঁতেই এক বন্দুকবাজের হামলায় প্রাণ যায় তাঁর।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শরথ তখন এক গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎই এক ব্যক্তি ভিতরে ঢুকে ওই গ্রাহককে ঠেলে ফেলে দেন। তারপর রেস্তরাঁর কর্মীদের দিকে বন্ধুক তাক করেন। শরথকে নিয়ে রেস্তরাঁয় পাঁচ জন কর্মী ছিলেন। প্রত্যেকেই ওই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শরথ ছুটে পালাতে যান। আর তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বন্দুকবাজ। পরপর পাঁচবার গুলির শব্দ শোনা যায়। পিঠে গুলি লেগে রেস্তরাঁর মেঝেয় পড়ে যান শরথ।

আরও পড়ুন: ক্যানসারের চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতি বাঙালির

পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, রক্তে ভেসে যাচ্ছিল শরথের চারপাশ। তাঁকে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অত্যধিক রক্তক্ষরণ হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ওই বন্দুকবাজ ডাকাতির উদ্দেশে রেস্তরাঁয় ঢুকেছিল।

শিকাগোয় ভারতীয় দূতাবাস টুইট করে এই ঘটনার কথা জানিয়েছে। কানসাসের উদ্দেশে দূতাবাসের অফিসারেরাও রওনা দিয়েছেন। তেলঙ্গলায় শরথের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে দূতাবাস। তাঁদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kansas Indian student America Telangana
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE