আলাস্কায় আমেরিকান সংস্থার একটি ছোট বিমান নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল বৃহস্পতিবার। মাঝ আকাশে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দীর্ঘ তল্লাশি অভিযানের পর শুক্রবার সেই বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। বরফের মাঝে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিমানটি। ১০ জনের মধ্যে মাত্র তিন জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ওই বিমানের ভিতর থেকে। এখনও সাত জনকে উদ্ধার করা যায়নি। আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনী (ইউএসসিজি) জানিয়েছে, বিমানের কোনও যাত্রীরই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। বাকিদের দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আমেরিকার বিমান সংস্থা বেরিং এয়ারের সেসনা ২০৮বি গ্র্যান্ড ক্যারাভান বিমানটি আলাস্কার উনালাকলিট শহর থেকে রওনা দিয়েছিল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো ৩৭ মিনিটে (স্থানীয় সময়)। বিমানের গন্তব্য ছিল আলাস্কারই নোম শহর। আলাস্কার জন নিরাপত্তা বিভাগ জানায়, ছোট আকারের ওই বিমানে পাইলট-সহ ১০ জন ছিলেন। বিকেল ৪টে নাগাদ (স্থানীয় সময়) বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। র্যাডারে শেষ সঙ্কেত ধরা পড়েছিল ৩টে ১৬ মিনিটে। তার পর থেকে আর বিমানটির খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা বিমানটির খোঁজ চালাচ্ছিলেন। দুর্গম পাহাড়ি এলাকাতেও সন্ধান চলছিল। তবে আকাশপথে বিমানের খোঁজ সম্ভব হয়নি। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বার বার তল্লাশি অভিযান বাধা পেয়েছে। শুক্রবার ইউএসসিজি জানায়, নোম শহর থেকে আনুমানিক ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ওই বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। বিমানের ভিতর থেকে তিন জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বাকি সাত জনও সেখানে রয়েছেন। কিন্তু ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে তাঁদের বার করা সম্ভব হয়নি এখনও। সেই চেষ্টা চলছে।’’
গত কয়েক দিনে পর পর বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে আমেরিকা। কিছু দিন আগে ওয়াশিংটনে একটি যাত্রিবাহী বিমানের সঙ্গে মার্কিন সেনার চপারের সংঘর্ষে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়। বিমান এবং চপারটি ভেঙে পড়েছিল পটোম্যাক নদীর উপর। এর দু’দিনের মাথায় পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় ভেঙে পড়ে আরও একটি বিমান। তাতে চার জন ছিলেন। সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। এ বার আলাস্কায় দুর্ঘটনা। ১০ জনেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।