—প্রতীকী চিত্র।
দু’বছর ধরে বার্লিনের এক ফস্টার কেয়ারে ‘বন্দি’ ভারতীয় শিশু অরিহা শাহকে ফেরানোর বিষয়ে জোরদার পদক্ষেপ করল ভারত সরকার। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ২৭ মাস বয়স ছিল অরিহার। যথাযথ দেখাশোনা হচ্ছে না অভিযোগ তুলে জার্মানিবাসী ভারতীয় দম্পতি ভবেশ ও ধারা শাহের থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তাঁদের সন্তানকে। এমনকি যৌন নিগ্রহের অভিযোগও তোলা হয়েছিল মা-বাবার বিরুদ্ধে। পরে সেই অভিযোগ খারিজ হয়ে গেলেও অরিহাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি মা-বাবার কাছে।
একটি সাক্ষাৎকারে ধারা শাহ জানিয়েছেন, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জার্মান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। দ্রুত অরিহাকে দেশে ফেরানোর আবেদন জানানো হয়েছে। ধারা বলেন, ‘‘ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক একটি জোরদার বিবৃতি প্রকাশ করেছে। দ্রুত অরিহাকে দেশে ফেরানোর কথা বলা হয়েছে জার্মান প্রশাসনকে। আমরা এ বার আশার আলো দেখছি। অরিহা হয়তো সত্যিই দেশে ফিরবে।’’
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের সেই ঘটনায় ভবেশ ও ধারা তাঁদের মেয়েকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। মেয়ের ডায়পারে রক্ত দেখে তাঁরা ডাক্তারের কাছে যান। সে সময়ে কিছু না হলেও পরে আবার মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাইল্ড কেয়ার সার্ভিসেসে খবর দেন। সেই থেকে জার্মানিতে একটি ফস্টার কেয়ার অর্থাৎ পালক মা-বাবার তত্ত্বাবধানে রয়েছে শিশুটি।
ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিশুটির ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি কিংবা সামাজিক পরিবেশ, সবটাই আলাদা। এই পরিবেশে থাকা ওর জন্য জরুরি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘‘আমরা বারবার করে জোর দিয়ে বলছি, অরিহা শাহ ভারতীয় নাগরিক। কোন জায়গায় পালক পিতা-মাতার কাছে থাকবে সে, তার উপর নির্ভর করছে শিশুটির সামাজিক-সাংস্কৃতিক বাড়বৃদ্ধি। জার্মান সরকারের কাছে আর্জি, অরিহাকে দ্রুত ভারতে ফেরানো হোক। ভারতীয় নাগরিক হিসেবে সেই অধিকার তার রয়েছে। সেটা যাতে হয়, তা আমরা নিশ্চিত করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy