মিশরের অনেকেই বিশ্বাস করেন, তুতানখামেন মমিকে যারা বিরক্ত করবে, তাদের মৃত্যু অনির্বায। এই বিশ্বাসটা তৈরি হয়েছিল ১৯২২ সালে প্রথম তুতানখামেনের মমি আবিষ্কারের পর থেকে। খননকার্যে ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ হোয়ার্ড কার্টারের নেতৃত্বে যে সব কর্মী যুক্ত ছিলেন, ঘটনাচক্রে তাঁদের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু ঘটেছিল অস্বাভাবিক ভাবে। তবে বিজ্ঞানের চোখে এ সব নেহাতই কুসংস্কার। এ বার আরও এক ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদের তত্ত্ববধানে অভিযান চলবে তুতেনখামেনের সমাধির গোপন ডেরায়।
দীর্ঘ ৩৩০০ বছর ধরে লুকিয়ে থাকা তুতানখামেনের সমাধির ভিতর লুকিয়ে থাকা চেম্বারের রহস্য ভেদ করতে তাঁদের এই অভিযান বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ নিকোলাস রিভেস। কী থাকতে পারে এই চেম্বারে? তুতানখামেনের সমাধি নিয়ে এত দিন ধরে নিকোলাস যে গবেষণা চালিয়েছেন, সেখানে সমাধির একটি গুপ্তপথের সূত্র খুঁজে পেয়েছেন তিনি। এই গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি ৯০ শতাংশ নিশ্চিত, এবারে নতুন কিছু তথ্য হাতে পাবেনই। নিকোলাসের অনুমান তুতেনখামেনের সমাধিতে আরও দুটি গোপন কক্ষ রয়েছে। যার মধ্যে একটি হতে পারে রানি নেফাতিতির সমাধি।