এই সেই টিকিট। ছবি সংগৃহীত।
বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন আমেরিকার প্রাক্তন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টন! শুধু তা-ই নয়, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের ঘরনি নাকি সিলেট থেকে পারাবত এক্সপ্রেসে চেপে ঢাকা গিয়েছেন! সোজা পথে টিকিট না কেটে, কালাবাজারে টিকিটও কেটেছেন! কিন্তু আসল ঘটনাটা কী?
বাংলাদেশের এক কলেজপড়ুয়া সিলেট থেকে ঢাকা যাবেন বলে পারাবত এক্সপ্রেসের টিকিট কাটতে গিয়েছিলেন। কিন্তু টিকিট না পেয়ে কালোবাজারে এক ব্যক্তির কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্যে টিকিট কেনেন তিনি। বেশি টাকা খরচ করতে হলেও নির্বিবাদেই ট্রেনে উঠে পড়েন তিনি। কিন্তু পরে তিনি আবিষ্কার করেন, টিকিটে তাঁর নাম নয়, মুদ্রিত রয়েছে হিলারি ক্লিন্টনের নাম। ট্রেন তখন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া জংশনে। এই টিকিট বিভ্রাটের খবর প্রকাশিত হয়েছে সে দেশের দৈনিক পত্রিকা ‘প্রথম আলো’য়।
বিভ্রাটের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরা বিভিন্ন ভুয়ো নামে পরিচয়পত্র বানান। সেই পরিচয়পত্রের মাধ্যমেই টিকিট কাটা হয় বলে ওই নামই টিকিটে মুদ্রিত হয়। আসলে বাংলাদেশের রেল মন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী, সে দেশে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে হলে অনলাইনে আইডি বা পরিচয়পত্র তৈরি করতে হবে। এটি তৈরি করতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র, ফোন নম্বর এবং ইমেল আইডি লাগে। কিন্তু একটি আইডি থেকে এক সপ্তাহে ৪ বারের বেশি টিকিট কাটা যায় না। তাই টিকিটের কালোবাজারি করা ব্যক্তিরা একাধিক টিকিট কাটতে ছদ্মনামের আশ্রয় নেন। এ প্রসঙ্গে রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক তৌফিকুল আজীম ‘প্রথম আলো’কে জানান, রেলের অনলাইন সফটওয়্যারের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারের সংযোগ থাকলে সহজেই এই কালোবাজারি ঠেকানো সম্ভব। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ করার কথা ভাবছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy