ফাইল চিত্র।
ব্রিটেনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ‘ভারতীয় স্ট্রেন’। সংক্রমণ এত দ্রুত বাড়ছে, যে ‘বি.১.৬১৭.২’ নিয়ে চিন্তায় এ দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। এরই মধ্যে ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্সের বিদায়ী প্রধান ক্লাইভ ডিক্স দাবি করেছেন, অগস্টের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে সংক্রমণ।
একটি ব্রিটিশ দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিক্স বলেন, ‘‘অগস্টের মধ্যেই, ব্রিটেনে আর ভাইরাসটির সংক্রমণ থাকবে না।’’ তিনি আরও জানান, ২০২২ সালের শুরুতে ভ্যাকসিনের বুস্টার দেওয়া শুরু করে দেবে সরকার। বর্তমানে সবচেয়ে কার্যকরী বুস্টারের সন্ধান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
জুলাইয়ের মধ্যে দেশের সব বাসিন্দা অন্তত একটি করে ডোজ় পেয়ে যাবেন বলে আশা ডিক্সের। সব ভ্যারিয়্যান্টের থেকেই কিছুটা নিরাপদ হয়ে যাবেন সকলে। ইতিমধ্যেই দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের অর্ধেকের বেশি অন্তত একটি করে ডোজ় পেয়ে গিয়েছেন। ৪০-এর নীচে যাঁদের বয়স, রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কার জন্য তাঁদের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন চ্যাডক্স১ দেওয়া হচ্ছে না। ফাইজ়ার, না হলে মডার্নার টিকা দেওয়া হচ্ছে।
গত কাল চিনা টিকাপ্রস্তুতকারী সংস্থা ‘সিনোফার্ম’-এর প্রতিষেধককে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এই প্রথম কোনও প্রতিষেধককে সবুজ সঙ্কেত দিল তারা। হু-র অনুমতি পাওয়ার আগেই অবশ্য বহু দেশে প্রতিষেধকটি দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। হু-র প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস বলেন, ‘‘জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে যে সব ভ্যাকসিনকে, সেই তালিকায় সিনোফার্মের নাম যোগ করা হল। নিরাপত্তা, কার্যকারিতা ও গুণগত মান— ছাড়পত্র দেওয়ার আগে এই তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে ষষ্ঠ ভ্যাকসিনকে অনুমতি দেওয়া হল।’’
বেশির ভাগ দেশেরই নিজস্ব স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা রয়েছে। কোন প্রতিষেধককে ছাড়পত্র দেওয়া হবে, আর কোনটিকে দেওয়া হবে না, তারাই স্থির করছে। কিন্তু যে সব দেশে এই পরিকাঠামো নেই (মূলত দরিদ্র দেশের কথা মাথায় রেখেই), তাদের জন্য এই তালিকা কার্যকরী।
আরও বেশ কিছু ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে হু। এর মধ্যে চিনের আরও একটি টিকা রয়েছে। সেটি হল সিনোভ্যাক। স্পুটনিক ভি-কে নিয়েও কথা চলছে। এগুলি ছাড়পত্র পেলে টিকাকরণের গতি আরও বাড়বে বলে আশা হু-র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy