এই অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ১৫০০টি বাড়ি। সিডনির তাপমাত্রা ৪৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে রেকর্ড ভেঙেছে। রেকর্ডগড়া তাপমাত্রা রাজধানীর ক্যানবেরাতেও। সেখানে তা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার দাবানল ছড়িয়েছে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে জনপ্রিয় পর্যটনস্থল ক্যাঙারু দ্বীপের বিস্তীর্ণ এলাকা পুড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত বহু হোটেল ও বাড়ি।
গত সেপ্টেম্বরেই সিডনিতে এসেছেন দীপন কুণ্ডু। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান তিনি। জানালেন, সিডনি থেকে কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে জ্বলছে আগুন। তিনি বললেন, ‘‘হাওয়া অভিমুখ বদলানোয় পরিস্থিতি এখন একটু ভাল। কয়েক সপ্তাহ আগেও ভয়াবহ অবস্থা ছিল সিডনিতে। ধোঁয়ার জেরে বাড়ির বাইরে বেরনো যাচ্ছিল না।’’ মেলবোর্নে বাসিন্দা বলাকা ঘোষ জানালেন, তাঁরা এখনও নিরাপদ। তবে দূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। বাতাসে ছাইয়ের গুঁড়ো আর পোড়া গন্ধ টের পাওয়াচ্ছে, আগুন আর দূরে নেই।
এই দুর্দিনে দেশবাসীর পাশে দাঁড়াতে শুক্রবারই আসন্ন ভারত সফর বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। আজ ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। বিপদের দিনে সব রকম ভাবে অস্ট্রেলিয়ার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মোদী।
পাশাপাশি আজ জাপান সফর বাতিলের কথাও জানান মরিসন। তিনি বলেছেন, ‘‘দেশ জুড়ে বিধ্বংসী দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এই মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য।’’ জানুয়ারির মাঝামাঝি ভারত ও জাপানে আসার কথা ছিল মরিসনের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে পুনরায় সফরের দিনক্ষণ স্থির করা হবে বলেও জানিয়েছে মরিসনের দফতর।
সেপ্টেম্বর থেকে দাবানলে জ্বলছে অস্ট্রেলিয়া। তারই মধ্যে সপরিবার হাওয়াইয়ে ছুটি কাটাতে গিয়ে প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মরিসন। সে বার সফর বাতিল করে তড়িঘড়ি দেশে ফিরে আসেন তিনি। ক্ষমাও চান দেশবাসীর কাছে। সমালোচনা এড়াতে এ বার তাই মরিসন বিদেশ সফর বাতিল করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।