আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। — ফাইল চিত্র।
চিনের একটি বেলুন আমেরিকার আকাশে ওড়া আর সেটিকে ধ্বংস করা নিয়ে একে অপরকে দোষারোপের পালা এখনও চলছে। এর মধ্যেই এই বিতর্কে মুখ খুলেছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, চিনের থেকে এই ধরনের চরবৃত্তি প্রত্যাশিতই।
গত শনিবার বিকেলে অতলান্তিক মহাসাগরের উপরে থাকা বেলুনটিকে ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ধ্বংস করেছে আমেরিকা। তাদের দাবি ছিল, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবদেনশীল তথ্য চুরির উদ্দেশ্যেই ওই বেলুনটিকে চর হিসেবে পাঠিয়েছিল চিন। যদিও চিনের বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতি দিয়ে দাবি করে, বেলুনটি তাদের হলেও সেটি কোনও গোয়েন্দা তথ্য হাতানোর উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়নি। বেলুনটি অসামরিক এবং তা আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহকারী একটি যন্ত্র মাত্র। মাঝ আকাশে বেলুনটিকে ধ্বংস করার জন্য আমেরিকান প্রশাসনকে একহাত নেয় চিন সরকার। যদিও প্রেসিডেন্ট বাইডেন বেলুনটিকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্তের পক্ষেই সওয়াল করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘কানাডা থেকে ওই উড়ন্ত বস্তুটি আমেরিকার আকাশে ঢোকার পরেই আমি সেটি ধ্বংস করে দিতে বলেছিলাম। কিন্তু আমাকে অফিসারেরা জানান, যে সেটি থেকে তাৎক্ষণিক কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তাই সেটি জলের উপর দিয়ে ওড়ার অপেক্ষায় ছিল সেনাবাহিনী। স্থলভূমিতে সেটিকে ধ্বংস করলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়তেন।’’
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পরে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক শোধরানোর বার্তা দিয়েছিলেন খোদ বাইডেন। গত বছর বালিতে গিয়েও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে সেই একই বার্তা দেন তিনি। সেই বাইডেনই এই বেলুন কাণ্ডের পরে জানিয়েছেন, চিনের তরফ থেকে এই ধরনের আচরণ প্রত্যাশিত। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘এখানে চিনকে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্ন নেই। এখানে প্রশ্ন হল আমরা একসঙ্গে কাজ করব নাকি প্রতিযোগী হিসেবে।’’
এরই মধ্যে বেলুনটির ধ্বংসাবশেষের কিছু অংশ অতলান্তিকের তলদেশে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কার্বি। তবে সমুদ্রে প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য সেগুলি তাঁদের হাতে এসে পৌঁছয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে কার্বি এ-ও স্পষ্ট জানান, ওই ধ্বংসাবশেষ চিনের হাতে তুলে দেওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy