গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরাতে সোমবারই রাজি হয়েছে বেজিং। আর সেই দিনই রাতে চিনের সরকারি টিভি চ্যানেলে এমন ছবি দেখানো হল, যা কার্যত ব্যুমেরাং হল শি চিনফিং সরকারের। জোরদার হল ভারতের দাবি। চিনা বাহিনী যে ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টের কাছে ভারতীয় ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনার কাজকর্মে বাধা দিয়েছিল, তাও কার্যত স্পষ্ট হল।
সোমবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত ডোভালের সঙ্গে চিনা বিদেশমন্ত্রীর দীর্ঘ ভিডিয়ো কনফারেন্সের পর গালওয়ান উপত্যকায় সেনা মোতায়েন নিয়ে জট কাটে। তার পর থেকেই সেনা সরাতে শুরু করেছে বেজিং। সোমবার সন্ধ্যায় চিনের সরকারি টিভি চ্যানেল সিসিটিভি-৪-এর একটি অনুষ্ঠানে কিছু স্যাটেলাইট ইমেজ দেখানো হয়।ওই টিভি চ্যানেলের দাবি, ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টের কাছে ভারতীয় সেনার একটি হেলিপ্যাড এবং অন্যান্য সেনার সামগ্রী সরিয়ে দিচ্ছে চিনের বাহিনী। ভারতীয় সেনার তাঁবু এবং হেলিপ্যাডের ছবি দেখানো হলেও সেখানে চিনা সেনার কার্যকলাপের ছবি নেই। ফলে এটাও চিনের কোনও পরিকল্পনার অংশ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
চিন দাবি করে আসছে, তারা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেনি। কিন্তু সরকারি ভাবে না হলেও ভারতীয় সেনা এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে দাবি করা হয়েছে, চিনা বাহিনী ভারতীয় ভূখণ্ডের ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টে ঢুকে বসেছিল। তার জেরেই ১৫ জুনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চিনের সরকারি চ্যানেলের দাবিমতো, চিনা বাহিনী যদি ভারতীয় তাঁবু ও হেলিপ্যাড তুলে দিয়ে থাকে, তা হলে সেই এটা স্পষ্ট হয় যে বেজিং আগ্রাসন চালিয়েছে এবং ভারতীয় ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা চালিয়েছে।