Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
International News

আপত্তি সরিয়ে রেখে বেল্ট অ্যান্ড রোডে সামিল হোক ভারত: ফের আহ্বান চিনের

বেল্ট অ্যান্ড রোড কর্মসূচিতে সামিল হতে ফের ভারতকে আহ্বান জানাল চিন। প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর স্বপ্নের কর্মসূচি বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সদ্যসমাপ্ত সম্মেলনে দলীয় সংবিধানে জায়গা করে নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং এক বিবৃতিতে ভারতকে বেল্ট অ্যান্ড রোড কর্মসূচিতে সামিল হতে আহ্বান জানিয়েছেন।ছবি: এএফপি।

বৃহস্পতিবার চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং এক বিবৃতিতে ভারতকে বেল্ট অ্যান্ড রোড কর্মসূচিতে সামিল হতে আহ্বান জানিয়েছেন।ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৭ ২৩:০৪
Share: Save:

বেল্ট অ্যান্ড রোড কর্মসূচিতে সামিল হতে ফের ভারতকে আহ্বান জানাল চিন। প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর স্বপ্নের কর্মসূচি বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সদ্যসমাপ্ত সম্মেলনে দলীয় সংবিধানে জায়গা করে নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর চিন্তাধারাকে বিশেষ মান্যতা দিয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি। সেই চিন্তাধারার অঙ্গ হিসেবে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ বা ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড নীতি ঠাঁই পেয়ে গিয়েছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সংবিধানে। বৃহস্পতিবার চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং এক বিবৃতিতে ভারতকে এই উদ্যোগে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এই উদ্যোগ থেকে আর মুখ ফিরিয়ে থাকা উচিত নয় ভারতের, কারণ বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের কারণে চিনের কাশ্মীর নীতিতে কোনও পরিবর্তন আসবে না, মন্তব্য শুয়াং-এর।

আরও পড়ুন:যৌন হেনস্থার অভিযোগ অভিনেত্রীর, ক্ষমা চাইলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট

বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অন্যতম প্রধান প্রকল্প হল চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি), যা চিনের কাশগড় থেকে শুরু হয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে গিয়ে শেষ হয়েছে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত গ্বাদর বন্দরে। জম্মু-কাশ্মীরের যে অংশ পাকিস্তান দখল করে রেখেছে, সেই অংশের উপর থেকে ভারত নিজেদের দাবি আজও ছাড়েনি, এ কথা জানা সত্ত্বেও কী ভাবে চিন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রাস্তা বানাল? প্রশ্ন তুলেছে দিল্লি। চিনের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানাতে গত মে মাসে বেজিঙে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড সম্মেলনও ভারত বয়কট করেছে। কিন্তু ভারতকে এই উদ্যোগে সামিল করতে চিন এখনও কতটা আগ্রহী, তা বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন:নেই হিজাব, নেই বিভাজন, বদলে যাওয়া সৌদির স্বপ্ন দেখাচ্ছে ‘নিওম’

চিনা মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘এই উদ্যোগ প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি সম্পর্কে চিনের অবস্থানে কোনও প্রভাব ফেলবে না।’’ চিনা বিদেশ মন্ত্রকের বার্তা, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে গেলেও, সিপিইসি শুধুমাত্র একটি যোগাযোগ পরিকাঠামো। ভারতের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে এই প্রকল্পের কোনও বিরোধ নেই বলে চিনা বিদেশ মন্ত্রক দাবি করছে। চিন বরাবরই বলে এসেছে, কাশ্মীর সমস্যা ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। ভারত এবং পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতেই এই সমস্যার সমাধান করবে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে অর্থনৈতিক করিডর গড়ে তোলা হয়েছে বলে চিন সেই অবস্থান থেকে সরে আসবে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই বলে নয়াদিল্লিকে বার্তা দিতে চেয়েছে বেজিং।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE